পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূরবী আলোতে তোরে দিক-না ভরে ভোরের নব রবি, বাজ রে বীণা বাজ । "গগন-কোলে হাওয়ার দোলে ওঠ রে দুলে কবি, ফুরালো তোর কাজ । বিদায় নিয়ে যাবার আগে পড়ক টান ভিতর-বাগে, বাহিরে পাস ছুটি । প্রেমের ডোরে বঁাধুক তোরে, বাঁধন যাক টুটি । ATTI Svovoo উৎসবের দিন ভয় নিত্য জেগে আছে প্রেমের শিয়ার-কাছে, মিলনসুখের বক্ষোমাঝে । আনন্দের হৃৎস্পন্দনে আন্দোলিছে ক্ষণে ক্ষণে বেদনার রুদ্র দেবতা যে ! তাই আজ উৎসবের ভোরবেলা হতে বাষ্পাকুল অরুণের করুণ আলোতে উল্লাসকল্লোলতলে ভৈরবী রাগিণী কেঁদে বাজে মিলনসুখের বক্ষেীমাঝে । নবীন পল্লবপুটে মমরি মমরি উঠে দূর বিরহের দীর্ঘশ্বাস । উষার সীমান্তে লেখা উদয়সিন্দূররেখা মনে আনে সন্ধ্যার আকাশ । আম্রের মুকুলগন্ধে ব্যাকুল কী সুর অরণ্যছায়ার হিয়া করিছে বিধুর, অশ্রুর অশ্রুত ধ্বনি ফায়ুনের মৰ্মে করে বাস— দূর বিরহের দীর্ঘশ্বাস । দিগন্তের স্বর্ণদ্বারে কতবার বারে বারে এসেছিল সৌভাগ্য-লগন । আশার লাবণ্যে ভরা জেগেছিল বসুন্ধরা, হেসেছিল প্ৰভাতগগন । কত-না উৎসুক বুকে পথপানে ধাওয়া, কত-না চকিত চক্ষে প্ৰতীক্ষার চাওয়া বারে বারে বসন্তেরে করেছিল চাঞ্চল্যে মগন, ७ggनछिठन (नीऊा?ा-ब्लीन्म । SSW)