পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূরবী ছন্দে তালে ভুলিব আপনা, বিশ্বব্গীতপদ্মদলে স্তব্ধ হবে অশান্ত ভাবনা । সঁপি দিব সুখ দুঃখ আশা ও নৈরাশ্য যত৷-কিছু তব বীণাতারে— ধরিবে গানের মূর্তি, একান্তে করিয়া মাথা নিচু শুনিব তাহারে । দেখিব তাদের যেথা ইন্দ্ৰধনু অকস্মাৎ ফুটে, দিগন্তে বনের প্রান্তে উষার উত্তর যেথা লুটে, বিবাগী ফুলের গন্ধ মধ্যাহ্নে যেথায় যায় ছুটে— নীড়ে-ধাওয়া পাখির ডানায় সায়াহ্নগগন যেথা দিবসেরে বিদায় জানায় । সেদিন আমার রক্তে শুনা যাবে দিবসরাত্রির নৃত্যের নূপুর | নক্ষত্র বাজাবে বক্ষে বংশীধ্বনি हीत আলোকবেণুর | সেদিন বিশ্বের তৃণ মোর অঙ্গে হবে রোমাঞ্চিত, আমার হৃদয় হবে কিংশুকের রক্তিমালাঞ্ছিত ; সেদিন আমার মুক্তি, যাবে হবে, হে চিরবাঞ্ছিত, তোমার লীলায় মোর লীলা ২২ অক্টোবর ১৯২৪ <ऎ অন্ধ কেবিন আলোয় আঁধার গোলা, বন্ধ বাতাস কিসের গন্ধে ঘোলা । মুখ ধোবার ওই ব্যাপারখানা দাড়িয়ে আছে সোজা, ক্লান্ত চোখের বোঝা । দুলছে কাপড় pegএ বিজলি-পাখার হাওয়ার ঝাপট লেগে । গায়ে গায়ে ঘেষে জিনিসপত্র আছে কায়ক্লেশে । বিছানাটা কৃপণ-গতিকের অনিচ্ছাতে ক্ষণকালের সহায় পথিকের । ঘরে আছে যে-কটা আসবাব নিত্য যতই দেখি, ভাবি ওদের মুখের ভাব নারাজ ভৃত্যসমপাশেই থাকে মম,