পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Տ Գ 8 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী পাবার তরে চিত্তে আমার ভাবনা কিছুই নাই । তোমার পানে নিবিড় টানের বেদন-ভরা সুখ মনকে আমার রাখে যেন নিয়ত উৎসুক । চাই না তোমায় ধরতে আমি মোর বাসনায় ঢেকে, আকাশ থেকেই গান গেয়ে যাও— নয়। খাচাটার থেকে । বুয়েনোস এয়ারিস ミミ エ > おこ 8 চাবি বিধাতা যেদিন মোর মন করিলা সৃজন বহু-কক্ষে-ভাগ-করা হম্যের মতন, শুধু তার বাহিরের ঘরে প্ৰস্তুত রহিল সজা নানামত অতিথির তরে ; তালা তার বন্ধ করি চবিখানি ফেলি দিলা দূরে } ঝে মাঝে পাস্থ এসে দাড়ায়েছে দ্বারে, বলিয়াছে ‘খুলে দাও”— উপায় জানি না খুলিবারে । বাহিরে আকাশ তাই ধুলায় আকুল করে হাওয়া ; সেখানেই যত খেলা, যত মেলা, যত আসা-যাওয়া । অস্তরের জনহীন পথে হিমো-ভেজা ঘাসে ঘাসে শেফালিকা লুটায়। শরতে । আষাঢ়ের আদ্ৰবায়ুভরে কদম্বকেশরে চিহ্ন তাৱ পড়ে ঢাকা । চৈত্রে সে বিচিত্র বর্ণে কুসুমের আলিম্পনে আঁকা । সেথায় লাজুক পাখি ছায়াঘন শাখে মধ্যাহ্নে করুণ কণ্ঠে উদাসীন প্ৰেয়সীরে ডাকে | সন্ধাতারা দিগন্তের কোণে । শিরীষ পাতার ফাকে কান পেতে শোনে যেন কার পদধবনি দক্ষিণ-বাতাসে । ঝরাপাতা-বিছানো সে ঘাসেন বঁাশরি বাজাই আমি কুসুমসুগন্ধি অবকাশে ।