পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূরবী দূরে চেয়ে থাকি একামনে করি। যদি কভু পাই তার দেখা যে পথিক একদিন অজানা সমুদ্র উপকূলে কুড়ায়ে পেয়েছে চাবি, বক্ষে নিয়ে তুলে শুনিতে পেয়েছে যেন অনাদি কালের কোন বাণী, সেই হতে ফিরিতেছে বিরাম না জানি । অবশেষে মৌমাছির পরিচিত এ নিভৃত পথপ্রান্তে এসে যাত্রা তার হবে অবসান ; খুলিবে সে গুপ্তদ্বার কেহ যার পায় নি। সন্ধান । বুয়েনোস এয়ারিস Sと FびSエ > ふミ8 বৈতরণী ওগো বৈতরণী, তরল খড়েগির মতো ধারা তব, নাই তার ধ্বনি, নাই রূপ, নাই স্পর্শ, ছন্দে তার নাই কোনো সীমা ; A অমাবস্যা রজনীর সুপ্তি সুগম্ভীর মীেনী প্ৰহরের মতো নিরাকার পদচারে শূন্যে শূন্যে ধায় অবিরত | প্ৰাণের অরণ্যতট হতে দণ্ড পল খসে খসে পড়ে তব অন্ধকারস্রোতে । রূপের না থাকে চিহ্ন, নাহি থাকে বর্ণের বর্ণনা, বাণীর না থাকে এক কণা | ওগো বৈতরণী, কতবার খেয়ার তরণী এসেছিল। এই ঘাটে আমার এ বিশ্বের আলোতে । নিয়ে গেল কালহীন তোমার কালোতে কত মোর উৎসবের বাতি, আমার প্রাণের আশা, আমার গানের কত সাথি, সেই হতে চিত্ত মোর নিয়েছে আশ্রয় তব তীরে | ওগো বৈতরণী, অদৃশ্যের উপকূলে থেমে গেছে যেথায় ধারণী