পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূরবী কন্তু পথতরুচ্ছায়ে খেলাঘর করেছি। রচনা, শেষ না হইতে খেলা চলিয়া এসেছি অন্যমন অশেষের টানে । গোধূলির ছায়ায় ধূসর। হে গম্ভীর, আসিয়াছি তোমার সোনার সিংহদ্বারে যেখানে দিনাস্তরবি আপন চরম নমস্কারে তোমার চরণে নত হল । যেথা রিক্ত নিঃস্ব দিবা প্রাচীন ভিক্ষুর জীর্ণবেশে নূতন প্ৰাণের লাগি তোমার প্রাঙ্গণতলে এসে <ळे 'प्रक्षद्ध (श्थळ' | দিনের আড়ালে থেকে কী চেয়েছি পাই নি উদেশ, আজ সে সন্ধান হোক শেষ । হে চিরনির্মল, তব শান্তি দিয়ে সম্পর্শ করো চোখ, দৃষ্টির সম্মুখে মম এইবার নির্বারিত হােক আঁধারের আলোকভাণ্ডার । নিয়ে যাও সেইখানে নিঃশব্দের গৃঢ় গুহা হতে যেখানে বিশ্বের কণ্ঠে নিঃসরিছে চিরন্তন স্রোতে সংগীত তোমার ! দিনের সংগ্রহ হতে আজি কোন অর্ঘ্য নিয়ে যাই তোমার মন্দিরে, ভাবি তাই । কত-না শ্রেষ্ঠীর হাতে পেয়েছি। কীর্তির পুরস্কার, সযত্নে এসেছি বহে সেই—সব রাতু-অলংকার, ফিরিয়াছি দেশ হতে দেশে । দিনের আলোর সাথে স্নান হয়ে এসেছে তাহারা তব দ্বারে এসে । রাত্রির নিকষে হায় কত সোনা হয়ে যায় মিছে, সে বোঝা ফেলিয়া যাব। পিছে । কিছু বাকি আছে। তবু, প্রাতে মোর যাত্ৰাসহচরী অকারণে দিয়েছিল মোর হাতে মাধবীমঞ্জরী, আজও তাহা অমান বিরাজে । শিশিরের ছোওয়া যেন এখনো রয়েছে তার গায়, এ জন্মের সেই দান রেখে দেব তোমার থালায় নক্ষত্রের মাকে । .