পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"||>@ লেখন পুরানো-মাঝে যা-কিছু ছিল চিরকালের ধন, নূতন, তুমি এনেছ তাই করিয়া আহরণ । মিলননিশীথে ধরণী ভাবিছে চাঁদের কেমন ভাষা— কোনো কথা নেই, শুধু মুখ চেয়ে হাসা । স্তব্ধ হয়ে কেন্দ্ৰ আছে, না দেখা যায় তারে— চক্ৰ যত নৃত্যু করি ফিরিছে চারি ধারে । দিবসের দীপে শুধু থাকে তেল, রাতে দীপ আলো দেয় । দোহার তুলনা করা শুধু অন্যায় ৷ গিরি যে তুষার নিজে রাখে, তার ভার তারে চেপে রহে । গলায়ে যা দেয়। ঝরনাধারায় চরাচর তারে বহে || কাছে থাকার আড়ালখানা ভেদ ক’রে তোমার প্ৰেম দেখিতে যেন পায় মোরে । ওই শুন বনে বনে কুঁড়ি বলে তপনেরে ডাকি— “খুলে দাও আঁখি । ধরার মাটির তলে বন্দী হয়ে যে-আনন্দ আছে কচিপাতা হয়ে এল দলে দলে অশাথের গাছে | বাতাসে মুক্তির দোলে ছুটি পেল ক্ষণিক বাচিতে, নিস্তব্ধ অন্ধের স্বপ্ন দেহ নিল আলোয় নাচিতে || খেলার খেয়ালবশে কাগজের তরী স্মৃতির খেলেনা দিয়ে দিয়েছিনু ভরি— যদি ঘাটে গিয়ে ঠেকে প্ৰভাতবেলায় তুলে নিয়ো তোমাদের প্রাণের খেলায় । দিনের আলোক যবে রাত্রির অতলে। আঁধারের ধ্যাননেত্ৰে দীপ্ত হয়ে জ্বলে শত লক্ষ তারা । পূৰ্ণ করে দেয় যেন অন্তরের অন্তহীন জ্যোতি ৷ > Q8 ܟܠ ܓ ܠ Տ Հ Գ S Sb એ છે S S. ܠ S S. ངེ་