পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা সুদৰ্শনা রাজাকে বাহিরে খুঁজিয়াছিল। সেখানে বস্তুকে চােখে দেখা যায়, হাতে ছোওয়া যায়, ভাণ্ডারে সঞ্চয় করা যায়, যেখানে ধনজন খ্যাতি, সেইখানে সে বরমাল্য পাঠাইয়াছিল। বুদ্ধির অভিমানে সে নিশ্চয় স্থির করিয়াছিল যে, বুদ্ধির জোরে সে বাহিরেই জীবনের সার্থকতা লাভ কৱিবে । তাহার সঙ্গিনী সুরঙ্গমা তাহাকে বলিয়াছিল, অন্তরের নিভৃত কক্ষে যেখানে প্ৰভু স্বয়ং লাইতে ভুল হইবে না ;— নহিলে যাহারা মায়ার দ্বারা চােখ ভোলায় তাহাদিগকে রাজা বলিয়া ভুল হইবে । সুদৰ্শন এ কথা মানিল না । সে সুবর্ণের রূপ দেখিয়া তাহার কাছে মনে মনে আত্মসমৰ্পণ করিল। তখন কেমন করিয়া তাহার চারি দিকে আগুন লাগিল, অন্তরের রাজাকে ছাড়িতেই কেমন করিয়া তাহাকে লইয়া বাহিরের নানা মিথ্যা রাজার দলে লড়াই বাধিয়া গেল, সেই অগ্নিদাহের ভিতর দিয়া কেমন করিয়া আপন রাজার সহিত তাহার পরিচয় ঘটিল, কেমন করিয়া দুঃখের আঘাতে তাহার অভিমান ক্ষয় হইল এবং অবশেষে কেমন করিয়া হার মানিয়া প্রাসাদ ছাড়িয়া পথে দাড়াইয়া। তবে সে তাহার সেই প্রভুর সঙ্গলাভ করিল, যে-প্ৰভু সকল দেশে। সকল কলে, সকল রূপে, আপন অন্তরের আনন্দরসে যাহাকে উপলব্ধি করা যায়-- এ নাটকে তাহাই বর্ণিত হইয়াছে । এই নাটা-রূপকটি ‘বাজা’ নাটকের অভিনয়যোগ্য সংক্ষিপ্ত সংস্করণ— নতন করিয়া পুনর্লিখিত । なTYi >○こと শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠা কির