পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܓ ܪܓ রবীন্দ্র-রচনাবলী 6न् তাই তো আমার এই জীবনের বনচ্ছায়ে ফাগুন আসে ফিরে ফিরে দখিন বায়ে, নতুন সুরে গান উড়ে যায় আকাশ পারে, নতুন রঙে ফুল ফোটে তাই ভারে ভারে ৷ কৌণ্ডিল । তা তুমি নতুন হয়েই রইলে সে-কথা সত্যি, বুড়ো হবার সময় পেলে না । ঠাকুরদা ! নিজে নতুন না হলে সেই নতুনকে যে পাই নে । 6न्म ওগো আমার নিত্য নতুন, দাড়াও হেসে চলাব তোমার নিমন্ত্রণে নবীন বেশে । দিনের শেষে নিবল যখন পথের আলো, সাগরতীরে যাত্রা আমার যেই ফুরাল, তোমার বাঁশি বাজে সাঝের অন্ধকারে শূন্যে আমার উঠল তারা সারে সারে ৷ কৌণ্ডিল্য | রাখে দাদা, তোমার গান রাখো । আজকের দিনে একটা কথা মনে বড়ো লাগছে । ঠাকুরদা। কী বলে দেখি । কৌণ্ডিলা ৷ এবার দেশবিদেশের লোক এসেছে, সবাই বলছে সবই দেখেছি ভালো কিন্তু রাজা দেখি, নে কেন— কাউকে জবাব দিতে পারি। নে ; এখানে ঐটে বড়ো একটা ফাঁকা রয়ে গেছে। ঠাকুরদা । ফাকা! আমাদের এই দেশে রাজা এক জায়গায় দেখা দেয় না বলেই তো সমস্ত বাজ । একেবারে বাজায় ঠাসা হয়ে রয়েছে- তাকে বল ফাঁক । সে যে আমাদের সবাইকেই রাজা করে। আমরা গান সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে । নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে ৷ আমরা যা খুশি তাই করি তবু তার খুশিতেই চরি, নই বাধা নাই দাসের রাজার नद नाम । মিলব কী স্বত্বে । রাজা সবারে দেন মান সে মান আপনি ফিরে পান, খাটো করে রাখে নি কেউ কোনো অসত্যে, भिलत की शङ् ।