তথবী পর্বতন। お““ রাজা বিজয়বর্মা, বিক্রমবাহু ও বসুসেনের প্রবেশ বসুসেন । এই উৎসবের রাজা কি আমাদেরও দেখা দেবে না ? বিক্ৰম । এর রাজত্ব করবার প্রণালী কী রকম ? রাজার বনে উৎসব, সেখানেও সাধারণ লোকের কাৱো কোনো বাধা নেই ? বিজয় । আমাদের জন্যে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র জায়গা তৈরি করে রাখা উচিত ছিল। বিক্রম | জোর করে নিজেরা তৈরি করে নেব । বিজয় । এই-সব দেখেই সন্দেহ হয়, এখানে রাজা নেই, একটা ফাকি চলে আসছে । বিক্রম | কিন্তু কান্তিকরাজকন্যা সুদর্শনা তো দৃষ্টিগোচর । বিজয় | তাকে দেখা চাই । যিনি দেখা দেন না তার জনে। আমার ঔৎসুক নেই, কিন্তু যিনি দেখবার যোগ্য তাকে না দেখে ফিরে গেলে ঠকতে হবে । বিক্ৰম । একটা ফন্দি দেখাই যাক-না । বসুসেন । ফন্দি জিনিসটা খুব ভালো, যদি তার মধ্যে নিজে আটকা না পড়া যায়। বিক্রম | এদিকে এরা কারা আসছে ? সঙ না কি ? রাজা সেজেছে ! বিজয় । এ তামাশা এখানকার রাজা সইতে পারে। কিন্তু আমরা সাইব না তো । বসুসেন । কোথাকার গ্রামারাজা হতেও পারে । পদাতিকগণের প্রবেশ বিক্রম | তোমাদের রাজা কোথাকার % প্রথম পদাতিক | এই দেশের । তিনি আজ উৎসব করতে বেরিয়েছেন । { পদাতিকগণের প্রস্তান বিজয় । এ কী কথা ! এখানকার রাজা বেরিয়েছে ! বসুসেন । তাই তো । তা হলে একেই দেখে ফিরতে হবে । অন্য দর্শনীয়টা ? বিক্ৰম । শোনো কেন ? এখানে রাজা নেই বলেই যৌ-খুশি নির্ভাবনায় আপনাকে রাজা বলে পরিচয় দেয় । দেখছ-না যেন সেজে এসেছে-- অত্যন্ত বেশি সাজ । বসুসেন । কিন্তু লোকটাকে দেখাচ্ছে ভালো, চোখ ভোলাবার মতো চেহারাটা আছে। বিক্রম | চোখ ভুলতে পারে। কিন্তু ভালো করে তাকালেই ভুল থাকে না । আমি তোমাদের সামনেই &র ফাকি ধরে দিচ্ছি । রাজবেশী সুবর্ণের প্রবেশ সুবৰ্ণ । রাজগণ, স্বাগত । এখানে তোমাদের অভ্যর্থনার কোনো ত্রুটি হয় নি তো ? রাজগণ । (কপট বিনয়ে নমস্কার করিয়া) কিছু না । বিক্রম | যে অভাব ছিল তা মহারাজের দর্শনেই পূর্ণ হয়েছে। সুবৰ্ণ । আমি সাধারণের দর্শনীয় নই। কিন্তু তোমরা আমার অনুগত, এইজন্যই একবার দেখা দিতে এলম | বিক্রম | অনুগ্রহের এত আতিশয্যা সহ্য করা কঠিন । সুবৰ্ণ ! আমি অধিকক্ষণ থাকব না । বিক্রম । সেটা অনুভবেই বুঝেছি— বেশিক্ষণ স্থায়ী হবার ভাব দেখছি নে । সুবৰ্ণ । ইতিমধ্যে যদি কোনো প্রার্থনা থাকেবিক্রম । আছে বৈকি। কিন্তু অনুচরদের সামনে জানাতে লজ্জা বোধ করি। সুবৰ্ণ । (অনুবতীদের প্রতি) ক্ষণকালের জন্য তোমরা দূরে যাও— (রাজগণের প্রতি) এইবার
