পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sbrや রবীন্দ্র-রচনাবলী সুদৰ্শনা ও সুরঙ্গমার প্রবেশ সুদৰ্শন। একদিন আমাকে সকলে সৌভাগ্যবতী বলত, আমি যেখানে যৌতুম সেখানেই ঐশ্বর্ষের আলো জ্বলে উঠত। আজ আমি এ কী অকল্যাণ সঙ্গে করে এনেছি। তাই আমি ঘর ছেড়ে পথে এলুম | সুরঙ্গমা। মা, যতক্ষণ না সেই রাজার ঘরে পৌঁছোবে ততক্ষণ তো পথই বন্ধু । সুদৰ্শনা। চুপ কর, চুপ কর, তার কথা আর বলিস নে । সুরঙ্গমা । তুমি যে তার কাছেই ফিরে যােচ্ছ। সুদৰ্শনা। কখনোই না । সুরঙ্গম । কার উপরে রাগ করছ মা ! সুদৰ্শন । আমি তার নাম করতেও চাই নে । সুরঙ্গম । আচ্ছা, নাম কোরো না, তীর সবুর সইবে । সুদৰ্শন । আমি পথে বেরোলুম, সঙ্গে সে এল না ! সুরঙ্গমা | সমস্ত পথ জুড়ে আছেন তিনি । সুদৰ্শনা } একবার বারণও করলে না ? চুপ করে রাইলি যে ? বল-না, তোর রাজার এ কী রকম ব্যবহার ! ! রঙ্গমা । সে তো সবাই জানে, আমার রাজা নিষ্ঠুর । তাকে কি কেউ কোনোদিন টলাতে পারে y সুদৰ্শন । তবে তুই এমন দিনরাত ডাকিস কেন ? সুরঙ্গমা । সে যেন এমনি পর্বতের মতোই চিরদিন কঠিন থাকে । আমার দুঃখ আমার থােক, সেই কঠিনেরই জয় হােক । { সুদর্শনার প্রস্তান ওগো আমার প্রাণের ঠাকুর তোমার প্ৰেম তোমারে এমন করে। করেছে নিষ্ঠুর । তুমি বসে থাকতে দেবে না যে, দিবানিশি তাই তো বাজে পরান মাঝে এমন কঠিন সুর ৷ ওগো আমার প্রাণের ঠাকুর, তোমার লাগি দুঃখ আমার হয়, যেন মধুর } তোমার খোজা খোজায় মোরে, তোমার বেদন কাদায় ওরে, আরাম যত করে কোথায় দূর ৷ [সুরঙ্গমার প্রস্থান রাজা বিক্রম ও সুবর্ণের প্রবেশ বিক্ৰম । কে যে বললে সুদর্শনা এই পথ দিয়ে পালিয়েছে। যুদ্ধে তার ব্যাপকে বন্দী করা মিথ্যে হবে যদি সে ফাকি দিয়ে পালিয়ে যায় । সুবৰ্ণ। পালিয়ে যদি গিয়ে থাকে, তা হলে তো বিপদ কেটে গেছে। এখন ক্ষান্ত হােন ! বিক্রম"। কেন বলে তো ?