পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રે જે રે রবীন্দ্র-রচনাবলী ঠাকুরদাদা। তা হােক, সে যতবড়ো রাজাই হােক, হার-মানার কাছে তাকে হার মানতেই হবে। কিন্তু রাজন, রাত্রে বেরিয়েছ যে | বিক্রম। ঐ লজ্জাটুকু এখনো ছাড়তে পারিনি। রাজা বিক্রম থালায় মুকুট সাজিয়ে তোমার বাজার মন্দির খুঁজে বেড়াচ্ছে, এই যদি দিনের আলোয় লোকে দেখে তা হলে যে তার হাসবে। ঠাকুরদাদা। লোকের ঐ দশা বটে। যা দেখে চােখ দিয়ে জল বেরিয়ে যায়। তাই দেখেই বাদকুল হাসে । বিক্রম। কিন্তু ঠাকুরদা, তুমিও পথে যে ? ঠাকুরদাদা । আমিও সর্বনাশের পথ চেয়ে আছি। 5闪 আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায় । আমি তার লাগি পথ চেয়ে আছি । পথে যে জন ভাসায় ৷ বিক্রম | কিন্তু ঠাকুরদা, যে ধরা দেবে না তার কাছে ধরা দিয়ে লাভ কী বলে । ঠাকুরদাদা । তার কাছে রা দিলে এক সঙ্গেই ধরাও দেওয়া হয় ছাড়াও পাওয়া যায় 0 gBO BB D DDBDS D S DS ভালোবাসে আড়াল থেকে, আমার মন মজেছে সেই গভীরের গোপন ভালোবাসায় ৷ { উভয়ের প্রস্থান সুরঙ্গমার প্রবেশ १ोंकि পথের সাথি, নমি বারংবার | পথিক জনের লহো নমস্কার ॥ ७८5ों दिनाश. ७ों भक्टि ওগো দিনশেষের পতি, ভাঙা-বাসার লহো নমস্কার ৷ ওগো নব প্ৰভাতজোতি, ওগো চিরদিনের গতি, নব আশার লহাে নমস্কার ॥ জীবনবথের হে সারথি, আমি নিত্য পথের পখী, পথে চলার লহাে নমস্কার ॥ সুদৰ্শনার প্রবেশ সুদৰ্শন। বেঁচেছি, বেঁচেছি সুরঙ্গমা ! হার মেনে তবে বেঁচেছি। ওরে বাস রে । কী কঠিন অভিমান । কিছুতেই গলতে চায় না। আমার রাজা কেন আমার কাছে আসতে যাবে— আমিই তার কাছে যােব, এই কথাটা কোনোমতেই মনকে বলতে পারছিলুম না । সমস্ত রাতটা পথে পড়ে ধুলোয় লুটিয়ে কেঁদেছি-- দক্ষিনে হাওয়া বুকের বেদনার মতো হুহু করে বয়েছে, আর কৃষ্ণচতুর্দশীর অন্ধকাবে বউ-কথা-কও চার পহর রাত কেবলই ডেকেছে- সে যেন অন্ধকারের কান্না !