পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঋণশোধ SV) আবার একতারাতে আমার গানে মাটির পানে তোমায় নামায়। \36ों তোমার সোনার আলোর ধারা তার ধারি ধার, শোধ করি তার | আমার শরৎ-রাতের শেফালি বন সৌরভেতে মাতে যখন, তখন পালটা সে তান লাগে তব শ্রাবণ-রাতের প্ৰেম-বরিষায় । সন্ন্যাসী । এই ঋণশোধের ছবি আমি দেখে নিলেম ঐ উপনন্দের মধ্যে । ওই তো প্রেমের ঋণ প্রেম দিয়ে শুধছে। উপনন্দকে তুমি দেখেছ ? শেখর । হাঁ তীকে দেখে নিয়েছি, বুঝেও নিয়েছি। ছেলেদের মুখে উপনন্দ আর ঠাকুরদা এই দুই নাম বাজছে। তাদের কাছে থেকে ওর সব খবর পেলুম। : সন্ন্যাসী । ওকে সবাই ভালোবাসে, কেননা ও যে দুঃখের শোভায় সুন্দর। শেখর । ঠাকুর, যদি তাকিয়ে দেখ তবে দেখবে সব সুন্দরই দুঃখের শোভায় সুন্দর । এই যে ধানের খেত। আজ সবুজ ঐশ্বর্যে ভরে উঠেছে এর শিকড়ে শিকড়ে পাতায় পাতায় ত্যাগ । মাটি থেকে জল থেকে হাওয়া থেকে যা-কিছু ও পেয়েছে সমস্তই আপন প্রাণের ভিতর দিয়ে একেবারে নিংড়ে নিয়ে মঞ্জরীতে মঞ্জরীতে উৎসর্গ করে দিলে। তাই তো চােখ জুড়িয়ে গেল । সন্ন্যাসী । ঠিক বলেছ। উদাসী, প্রেমের আনন্দে উপনন্দ দুঃখের ভিতর দিয়ে জীবনের ভরা খেতের ফসল ফলিয়ে তুললে । শেখর। ঐ দুঃখের রতনমালা বিশ্বের কণ্ঠে ঝলমল করছে। 5R দুখের অশ্রুধার । জননী গো, গাথব তোমার গলার মুক্তাহার । মালা হয়ে জড়িয়ে আছে, তোমার বুকে শোভা পাবে আমার দুখের অলংকার। ধনধান্য তোমারি ধন কী করবে তা কও, দিতে চাও তো দিয়ে আমায়, নিতে চাও তো লাও । দুঃখ আমার ঘরের জিনিস, এ মোর অহংকার lি