পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\S) RV) রবীন্দ্র-রচনাবলী তৃতীয় ব্যক্তি। বল কী, নিজের চক্ষে দেখেছে ! দ্বিতীয় ব্যক্তি | ই রে, নিজের চক্ষে বৈকি | তৃতীয় ব্যক্তি | আছে রে আছে, সিদ্ধপুরুষ আছে ; ভাগ্যে যদি থাকে। তবে তো দর্শন পাব। তা চল-না ভাই, কোন দিকে গেল একবার দেখে আসি গে ।

  • M

| ॐ লক্ষেশ্বরের প্রবেশ লক্ষেশ্বর। দেখো ঠাকুর, তোমার মন্তর যদি ফিরিয়ে না নাও তো ভালো হবে না বলছি। কী মুশকিলেই ফেলেছি, আমার হিসাবের খাতা মাটি হয়ে গেল। একবার মনটা বলে যাই সোনার পদ্মৰ খোজে, আবার বলি থাক গে ও-সব বাজে কথা । একবার মনে ভাবি, এবার বুঝি তবে ঠাকুরদাই জিতলে-বা, আবার ভাবি মরুক গে ঠাকুরদা ! ঠাকুর, এ তো ভালো কথা নয়। চেলা-ধরা ব্যাবসা দেখছি তোমার ! কিন্তু সে হবে না, কোনােমতেই হবে না। চুপ করে হাসছ কী। আমি বলছি আমাকে পারবে না— আমার শক্ত হাড় । লক্ষেশ্বর কোনোদিন তোমার চেলাগিরিতে ভিড়বে না । [ প্ৰস্থান সন্ন্যাসী । এবার অর্ঘ্য সাজানো যাক । এ যে টগর, এই বুঝি মালতী, শেফালিকাও অনেক এনেছ দেখছি । সমস্তই শুভ্ৰ, শুভ্ৰ, শুভ্ৰ ! এবারে সকলে মিলে শারদোৎসবের আবাহন গানটি ধরে । কবি, তুমি ধরিয়ে দাও । ঠাকুরদা, তুমিও যোগ দিয়ে । 6ीक আমরা বেঁধেছি। কাশের গুচ্ছ, আমরা । গোথেছি শেফালি মালা । নবীন ধানের মঞ্জরী দিয়ে সাজিয়ে এনেছি ডালা । এসো গো শারদলক্ষ্মী, তোমার শুভ্ৰ মেঘের রথে, act নির্মল নীল পথে, এসো ধৌত শ্যামল আলো-ঝলমল বনগিরি-পর্বতে । এসো মুকুট পরিয়া শ্বেত শতদল শীতল শিশির-ঢালা ৷ ঝরা মালতীর ফুলে আসন-বিছানো নিভৃত কুঞ্জে ভরা গঙ্গার কূলে, তোমার চরণমূলে । গুঞ্জর তান তুলিয়ো তোমার সোনার বীণার তারে মৃদু মধু ঝংকারে, হাসিটােলা সুর গলিয়া পড়িবে