পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পলাতকা যেমন করে মাতা বারংবার শিশু ছেলের সহস্র আবদার হেসে সকল বহন করেন মেহের কৌতুকে, তেমনি করেই সুপ্ৰসন্ন মুখে মঞ্জলী তার বাপের নালিশ দণ্ডে দণ্ডে শোনে, CPI ANCION ACN ! সেই কথাটা মনে ক’রে গর্বসুখে পূর্ণ তাহার। প্ৰাণ ।

  • আমার মায়ের যন্তু যো-জন পেয়েছে একবার

হোলির সময় ব্যাপকে সেবার বাতে ধরল ভারি । ডাকতে হলে তারে । হলদিয়যন্ত্র বিকল হতে পারে ছিল এমন ভয় । পুলিনকে তাই দিনের মধ্যে বারেবারেই আসতে যেতে হয় । মঞ্জলী তার সনে সহজভাবে কইবে কথা যতই করে মনে ততই বাধে আরো । এমন বিপদ কারো হয় কি কোনোদিন । গলাটি তার কাপে কেন, কেন এতই ক্ষীণ, ভয়ে মরে বিরাহিণী শুনতে যেন পাবে কেহ রক্তে যে তার বাজে রিনিরিনি । পদ্মপাতায় শিশির যেন, মনখানি তার বুকে দিবারাত্রি টলছে কেন এমনতরো ধরা-পড়ার মুখে | গাঠের ব্যথা অনেক এল কমে । একটু এখন চলে হাত-পা নেড়ে । এমন সময় সন্ধ্যাবেলা হাওয়ায় যখন যুখীবনের পর্যানখানি মেলা, আঁধার যখন চাদের সঙ্গে কথা বলতে যেয়ে চুপ ক’রে শেষ তাকিয়ে থাকে চেয়ে মঞ্জুলীরে পাশের ঘরে ডেকে বলে— “জানো তুমি তোমার মায়ের সাধ ছিল এই চিতে NG