পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পলাতকা এ তো কেবল বাইরে আমার গলায় মাথায় পরি ; কী দিয়ে যে হৃদয় ভরি সেই তো খুঁজে মারি । তৃষ্ণা আমার বাড়ে শুধু মালার তাপে ; কিসের শাপে পেলেম বিজয়মালা ? আমার কেমন মনে হল, আরো যেন অনেক আছে বাকি সে নইলে সব ফাকি । এ শুধু আধখানা ; কোন মানিকের অভাব আছে, এ মালা তাই কানা । হয় নি পাওয়া, সেই কথাটাই কেন মনের মাঝে এমন করে বাজে । চল রে ফিরে বিড়ম্বিত, আবার ফিরে চল, দেখবি খুঁজে বিজন সভাতলযদি রে তোর ভাগ্যদোষে ধুলায় কিছু পড়ে থাকে খসে । যদি সোনার থালা লুকিয়ে রাখে আর-কোনো এক মালা ; সন্ধ্যাকাশে শান্ত তখন হাওয়া ; দেখি সভার দুয়ার বন্ধ, ক্ষান্ত তখন সকল চাওয়া-পাওয়া । নাই কোলাহল, নাইকো ঠেলা ঠেলি, তরুশ্রেণী স্তব্ধ যেন শিবের মতন যোগের আসন মেলি । বিজন পথে আঁধার গগনতলে আমার মালার রতনগুলি আর কি তেমন জ্বলে । আকাশের ওই তারার কাছে লজা পেয়ে মুখ লুকিয়ে আছে। দিনের আলোয় ভুলিয়েছিল মুগ্ধ আঁখি আঁধারে তার ধরা পড়ল ফাকি । এরই লাগি এত বিবাদ, সারাদিনের এত দুখের পালা ? লও ফিরে লিও তোমার বিজয়মালা । ঘনিয়ে এল রাতি । হঠাৎ দেখি তারার আলোয় সেই যে আমার পথের তরুণ সাথি ऊों9न् 202 গান গেয়ে যায় রানীর কুঞ্জবনে । আমি তারে শুধাই ধীরে, “কোথায় তুমি এই নিভৃতের মাঝে VS