পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন ぐbr○ পূর্ণতার দ্বারা হলেই তবে সে সার্থক হয়, শূন্যতার দ্বারা সে শূন্য ফলই লাভ করে। , অতএব যিনি মুক্তস্বরূপ সেই ব্রহ্মের দিকে লক্ষ করো। তিনি না-রূপেই মুক্ত নন, তিনি হাঁ-রূপেই মুক্ত। তিনি ওঁ । অর্থাৎ, তিনি হাঁ । এইজন্য ব্ৰহ্মর্ষি তাকে নিস্ক্রিয় বলেন নি, অত্যন্ত স্পষ্ট করেই তাকে সক্রিয় বলেছেন । তারা বলেছেন- r পরাস্য শক্তিবিবিধৈব শুয়তে স্বাভাবিকী জ্ঞানবলক্রিয় চ। শুনেছি ঐর পরম শক্তি এবং এর বিবিধা শক্তি এবং এর জ্ঞানক্রিয়া ও বলক্রিয়া স্বাভাবিকী | ব্ৰহ্মের পক্ষে ক্রিয়া হচ্ছে স্বাভাবিক- অর্থাৎ তীর স্বভাবেই সেই ক্রিয়ার মূল, বাইরে নয়। তিনি করছেন, তাকে কেউ করাচ্ছে না | এইরূপে তিনি তীর কর্মের মধ্যেই মুক্ত- কেননা এই কর্ম তীর স্বাভাবিক | আমাদের মধ্যেও কর্মের স্বাভাবিকতা আছে। আমাদের শক্তি কর্মের মধ্যে উন্মুক্ত হতে চায়। কেবল বাইরের প্রয়োজনবশত নয়, অন্তরের স্মৃর্তিবশত । সেই কারণে কর্মেই আমাদের স্বাভাবিক মুক্তি । কমেই আমরা বাহির হই, প্রকাশ পাই। কিন্তু যাতে মুক্তি তাতেই বন্ধন ঘটতে পারে। নীেকের যে গুণ দিয়ে তাকে টেনে নেওয়া যায়। সেই গুণ দিয়েই তাকে বাধা যেতে পারে । গুণ যখন তাকে বাইরের দিকে টানে তখনই সে চলে, যখন নিজের দিকেই বেঁধে রাখে তখনই সে পড়ে থাকে । আমাদেরও কর্ম যখন স্বার্থের সংকীর্ণতার মধ্যেই কেবল পাক দিতে থাকে তখন কর্ম ভয়ংকর বন্ধন । তখন আমাদের শক্তি সেই পরাশক্তির বিরুদ্ধে চলে, বিবিধা শক্তির বিরুদ্ধে চলে । তখন সে ভুমারদিকে চলে না, বহুর দিকে চলে না, নিজের ক্ষুদ্রতার মধ্যেই আবদ্ধ হয়। তখন এই শক্তিতে আমাদের মুক্তি দেয় না, আনন্দ দেয় না, তার বিপরীতেই আমাদের নিয়ে যায়। যে ব্যক্তি কর্মহীন অলস সেই রুদ্ধ। যে ব্যক্তি ক্ষুদ্রকর্ম, স্বার্থপর, জগৎসংসারে তার সুশ্রম কারাবাস । সে স্বার্থের কারাগারে অহোরাত্র একটা ক্ষুদ্র পরিধির কেন্দ্ৰকে প্ৰদক্ষিণ করে ঘানি টানছে এবং এই পরিশ্রমের ফলকে সে যে চিরদিনের মতো আয়ত্ত করে রাখবে এমন সাধ্য তার নেই ; এ তাকে পরিত্যাগ করতেই হয়, তার কেবল পরিশ্রমই সার । অতএব কর্মকে স্বার্থের দিক থেকে পরমার্থের দিকে নিয়ে যাওয়াই মুক্তি— কর্ম ত্যাগ করা মঞ্জি নয় । আমার যে-কোনো কমই করি।-- তা ছোটোই হোক আর বড়োই হোক, সেই পরমাত্মার স্বাভাবিকী বিশ্বক্রিয়ার সঙ্গে তাকে যোগযুক্ত করে দেখলে সেই কৰ্ম আমাদের আর বদ্ধ করতে পারবে না— সেই কর্ম সত্যকর্ম, মঙ্গলকর্ম এবং আনন্দের কর্ম হয়ে উঠবে } Sb ?* श्र० আত্মত্রীড়া আত্মরতিঃ ক্রিয়াবান এষ ব্রহ্মবিদাং বরিষ্ঠঃ ! ব্রহ্মবিদদের মধ্যে যারা শ্রেষ্ঠ, পরমাত্মায় তাদের ক্ৰীড়া, পরমাত্মায় তাদের আনন্দ এবং তারা ক্রিয়াবান । শুধু তাদের আনন্দ নয়, তাদের কর্মও আছে । এই শ্লোকটির প্রথমাধঢ়কু তুললেই কথাটার অর্থ স্পষ্টতর হবেপ্ৰাণোহ্যেষ যঃ সৰ্ব্বভৃতৈর্বিভাতি বিজােনন বিদ্বান ভব৩ে নীতিবাদী { এই যিনি প্রাণরূপে সকলের মধ্যে প্রকাশ পাচ্ছেন- একে যিনি জানেন তিনি ঐকে অতিক্রম করে কোনো द9ीं दक्ष • |