পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় । AVS ১ । তোমারে ভুলিতে মোর হল নাকে মতি ২ । ভোর হতে নীলাকাশ ঢাকা ঘন মেঘে ৩ । আকাশে গহন মেঘে গভীর গর্জন ৪ । প্ৰভু, তুমি দিয়েছ যে ভার ৫। শুধু এইটুকু সুখ অতি সুকুমার (প্রথম দু লাইন |) সবগুলিই পত্ৰলেখায় ছাপা হয়ে গিয়েছে, ১৯০৮ সালে। তবে এ নিয়ে আর কাউকে যেন কিছু বলবেন না | তখন আমার মনে পড়ল। যখন পত্ৰলেখার পাণ্ডুলিপি প্রথম আমি পড়ে দেখি তখন প্রিয়ম্বদার বিরলভূষণ বাহুল্যবর্জিত কবিতার আমি যথেষ্ট সাধুবাদ দিয়েছি। বােধ করি সেই কারণেই কবিতাগুলি যথোচিত সম্মান লাভ করে নি। অন্তত পত্ৰলেখার কয়েকটি কবিতা সম্বন্ধে আমার ভ্রান্তিকে নিজের হাতের অক্ষরে আমার আপনি রচনার মধ্যে স্থান দিয়ে ঠার কবিতার প্রতি সমােদর প্রকাশ করতে পেরেছি বলে খুশি হলেম। -প্রবাসী, কার্তিক ১৩৩৫ লেখন, রবীন্দ্রশতবর্ষপূর্তি সংস্করণ, ১৩৬৮ ৷ এই প্রসঙ্গে এ কথা উল্লেখ করা যাইতে পারে যে, “এই লেখনগুলি শুরু” “চীনে জাপানে” হয় নাই, চীনে জাপানে যাইবার পূর্বেও কবিকে “স্বাক্ষরলিপির দাবি" মিটাইতে হইয়াছে, এবং লেখনের সব কবিতাই এইরূপ দাবি মিটাইবার জন্য রচিত নহে; ২২৪ পৃষ্ঠার "একা এক শূন্য মাত্র নাহি অবলম্ব হইতে ২২৫ পৃষ্ঠা পর্যন্ত অধিকাংশ কবিতা ১৯১২-১৩ সালে বিদেশভ্রমণের সময় জাহাজ, আরোগ্যশালা, নানা স্থানে রচিত । এই কবিতাগুচ্ছ “দ্বিপদী” নামে ১৩২০ সালের প্রবাসীতে মুদ্রিত হয়। লেখন আন্দোপান্ত কবির হস্তক্ষেরের প্রতিলিপিরূপে মুদ্রিত হইয়াছিল। তাহার নিদর্শনমাত্রস্বরূপ প্রথম সংস্করণের আখ্যাপত্র, ভূমিকা, প্রথম পৃষ্ঠা ও শেষ পৃষ্ঠার প্রতিলিপি রচনাবলী সংস্করণে মুদ্রিত হইল। লেখনে ইংরেজি কবিতাও মুদ্রিত হইয়াছিল, রচনাবলী-সংস্করণে লেখনের প্রথম পৃষ্ঠায় তাহার নিদর্শন রহিয়াছে। W35 গুরু। ১৩২৪ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এই নাটকটি অচলায়তনের “কিঞ্চিৎ রূপান্তরিত এবং লঘুতর” আকার। এই রূপান্তরে রবীন্দ্রনাথ অচলায়তনের অনেক অংশ বর্জন করেন এবং কয়েকটি নূতন অংশ যোগ করেন। বর্তমান সংস্করণের পাঠ প্ৰস্তুত করবার কাজে সুহৃৎকুমার মুখোপাধ্যায়ের সৌজন্যে গুরুর পাণ্ডুলিপি ব্যবহার করিবার সুযোগ পাওয়া গিয়াছে। গুরু প্রসঙ্গে অচলায়তনের গ্রন্থপরিচয় (রবীন্দ্র-রচনাবলী, একাদশ খণ্ড ; সুলভ, ষষ্ঠ খণ্ড) দ্রষ্টব্য । ৬ এই পাঁচটি কবিতাই রবীন্দ্র-রচনাবলীতে বর্জিত। পঞ্চম কবিতাটির শেষ দুই ছত্ৰ : স্থির হয়ে সহ করো পরিপূর্ণ ক্ষতি, শেষটুকু নিয়ে যাক নিষ্ঠুর নিয়তি ।