বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>設● द्रभा। চতুর্থ অঙ্ক ভীরুতা,—এ দুইই যদি সে খৰ্ব্ব করে থাকে মা, বেণীর কথা মনে করে আমি কোন দিন দীর্ঘশ্বাস ফেলব না। বরঞ্চ এই প্রার্থনাই কোরব, সে আমার ফিরে এসে দীর্ঘজীবী হয়ে যেন এম্‌নি কোরেই কাজ করতে পারে । রমী, একসস্তান যে কি সে শুধু মায়েই জানে। বেণীকে যখন তার রক্ত-মাথা অবস্থায় পাঙ্কিতে করে হাসপাতালে নিয়ে গেল, তখন যে আমার কি হ’য়েছিল তোমাকে বোঝাতে পারব না । কিন্তু তবুও কারুকে আমি অভিশাপ দিতে পারি নি। এ কথা ত ভুলতে পারি নি মা, যে ধৰ্ম্মের শাসন মায়ের মুখ চেয়ে থাকে না । রম । তোমার সঙ্গে তর্ক করছি নে জ্যাঠাইমা, কিন্তু এই যদি সত্য হয, তবে রমেশদা কোন পাপে এ দুঃখ ভোগ করচেন ? আমরা যা কোরে তাকে জেলে দিযেছি এ কথা ত কারও অগোচর নেই। বিশ্বেশ্বরী ! নেই বলেই ত বেণী আজ হাসপাতালে। আর তামার—কি জানিস্ মা, কোন কাজই কোন দিন শুধু শুধু শূন্তে মিলিয়ে যায় না । তার শক্তি কোথাও-না-কোথাও গিয়ে কাজ করেই। কিন্তু কি কোরে করে তা’ সকল সময় ধরা পড়ে না বলেই আজ পর্য্যস্ত এ সমস্তার মীমাংস হোলে না, কেন একের পাপে অন্যে প্রায়শ্চিত্ত করে । কিন্তু করতে যে হয় রম, তাতে ত সংশয় নেই । রমা নীরবে দীর্ঘনিশ্বাস মোচন করিল বিশ্বেশ্বরী । এর থেকে আমারও চোখ ফুটেচে মা, ভাল কোরব বললেষ্ট সংসারে ভাল করা যায় না । গোড়ার ছোট-বড় অনেকগুলো সিড়ি উত্তীর্ণ হবার ধৈর্য্য থাক চাই । একদিন রমেশ হতাশ হয়ে যখন চলে যেতে চেয়েছিল তখন আমিই তাকে যেতে দিই নি । তাই তার জেলের খবর গুনে মনে হয়েছিল আমিই যেন তাকে জেলে পাঠালাম ।