>義じ。 রমা চতুর্থ অঙ্ক রমেশ । দিয়ে গেলাম মানে ? রমা । ( রমেশের মুখের প্রতি চাহিয়া ) একদিন কোন মানেষ্ট তোমার কাছে গোপন থাকবে না রমেশদ,—তাই, আমার ধতীনকে আমি তোমাকেই দিয়ে যাব ৷ তাকে তোমার মত করেই মানুষ কোরে । বড় হয়ে সে যেন তোমারি মত স্বার্থত্যাগ করতে পারে । ( আঁচলে চোখ মুছিয়া ) এ আমার চোথে দেখে যাবার সময় হবে না । কিন্তু আমার নিশ্চয় বিশ্বাস, যতীনের দেহে তার পূর্বপুরুষদের রক্ত আছে। হ্যাগের যে শক্তি তাদের অস্থি-মজ্জায় মিশে ছিল—শেখালে হয়ত সেও একদিন তোমারি মত মাথা উঁচু কোরে দাড়াবে। রমেশ চুপ করিয়া রহিল রমা। চুপ কোরে থাকূলে ত আজি তোমাকে ছাড়ব না রমেশদ । র:মশ । দেখ, এ সকলের মধ্যে আiর আমাকে টেনে না । আমি অনেক দুঃখের পরে একটুখানি আলোর শিখা জালুতে পেরেচি, তাই :কবলই ভয় হয়,পাছে একটুতেই তা নিবে যায় । রম । তোমার ভয় নেই রমেশদা, এ আলো আর নিব বে না । জ্যাঠাইমা বলছিলেন, তুমি দূর থেকে এসে বড় উচুতে বসে কাজ করতে চেয়েছিলে বলেই এত বাধা পেয়েছ। তখন পরের মত তুমি গ্রাম্যসমাজের অতীত ছিলে, এখন হয়েছ তাদেরই একজন। তখন তোমার দেওয়া ছিল বিদেশীর দান, গাজ হয়েছে তা’ আত্মীয়ের স্নেহের উপহার । দুঃখ পেয়ে দুঃখ সযে সে তুমি আর নেই। তাই এ আলো আর স্নান তবে না ;—এখন প্রতিদিনই উজ্জল হয়ে উঠবে । রমেশ। ঠিক জান রম,আমার এই দীপেরশিখাটুকু আর নিববে না ? রুমা । ঠিক জানি । ধিনি সব জানেন, এ সেই জ্যাঠাইমার কথা ।
পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৩৭
অবয়ব