বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

त्यक्षम भूष्ठ द्भa o বলবার বরাত আমাদের মত দুজন মেয়েমানুষের ওপর না দিয়ে নিজে বলে গেলেই ত পুরুষের মত কাজ গেতো । রমেশ নির্বাক পাথরের মূৰ্ত্তির মত দাড়াইয়া রহিল মালি। যাই হোক, বামুনের ছেলেকে আমি চাকর-বাকর দিয়ে অপমান করতে চাই নে, একটু হাঁস করে কাজ কোরো। কচি খোকাটি নও যে লোকের বাড়ীতে ঢুকে আবদার করে বেড়াবে। রাণী কি ? রাণী ওর নাম নাকি ? তোমার বাড়ীতে আমার রমা কখনো পা ধুতে যেতেও পারবে না। এই তোমাকে আমি বলে দিলাম। রমেশ–তোমাকে মা বলতেন রাণী, ছেলেবেলার সেই ডাক্টাই মনে ছিল রমা। আমি ত জানতাম না যে আমাদের বাড়ীতে তুমি যেতেই পারে না। না জেনে যে উপদ্রব করে গেলাম সে আমাকে তুমি ক্ষম কোরো রম ৷ রমেশের প্রস্থান ও বেণীর আবির্ভাব বেণী । (তাহার সমস্ত মুখ খুসিতে ভরিয়া গিয়াছে) ই,শোনালে বটে মালি । আমাদের সাধ্যিই ছিল না অমন ক’রে বলা । একি চাকরবাকরদের কাজ রমা ? আমি আড়ালে দাড়িয়ে দেখলাম কি না, ছোড়া মুখখানা যেন আষাঢ়ের মেঘের মত করে বেরিয়ে গেল। এই ত ঠিক হ’ল । মাসি। হ’ল ত জানি, কিন্তু মেয়েমানুষের ওপর ভার না দিয়ে, না সরে গিয়ে নিজে বললেই ত আরোও ভাল হোতে। আর না-ই যদি বলতে পারতে,আমি কি বললাম দাড়িয়ে থেকে শুনে গেলে না কেন বাছ ? রমা । দুঃখ কোরে না মালি, উনি ন গুমুন আমরা শুনেছি। যে যতই বলুক না কেন, এতখানি বিষ জিভ দিয়ে ছড়াতে তোমার মত আর কেউ পেরে উঠত না ।