বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fन्वच्छीश्च व्रताश्] রমেশের বহির্বাট । চণ্ডী-মণ্ডপের বারান্দার একধারে ভৈরব আচাৰ্য্য থান ফাড়িয় কাপড় পাট করিয়া গাদ দিতেছে। চণ্ডীমণ্ডপের অভ্যন্তরে বসিয়া গোবিন গাঙলী ধুমপান করিতেছে এবং আড়চোখে চাহিয়া বস্ত্ররাশির মনে মনে সংখ্যা নিরূপণ করিতেছে। কৰ্ম্মবাড়ী। আসন্ন শ্ৰাদ্ধকৃত্যের বহুবিধ আয়োজন চারিদিকে বিক্ষিপ্ত। নানা লোক নানা কাযে ব্যস্ত । সময় অপরাতু। রমেশের প্রবেশ রমেশ । (গোবিন্দ গাঙলীর প্রতি সবিনয়ে) এই যে আপনি এসেছেন । গোবিন । আসবো বই কি বাবা, আসবে বই কি ! এ যে আমার আপনার কাজ রমেশ । নেপথ্যে কাশির শব্দ। কাশিতে কাপিতে ৪৷৫টা ছেলে মেয়ে লইয়৷ ধৰ্যদাস চাটুয্যের প্রবেশ। উাহার কাধের উপর মলিন উত্তরীয়, নাকর উপর এক জোড়া ভাটার মত মস্ত চমূম পিছনে দড়ি দিয়া বাধা। সাদা চুল, সাদা গোফ তামাকের ধুয়ায় তাম্রবণ। অগ্রসর হইয় রমেশের মুখের প্রতি ক্ষণকাল চাহিয় কোন কথা না কহিয়া কাঞ্জিয় ফেলিলেন। রমেশ চিনিল নী ইনি কে। কিন্তু যেই হোন্‌, ব্যস্ত হইয়া হাত ধরিতেই ধৰ্ম্মদাস । ( কাদিয়া ) ন' বাবা রমেশ, তারিণী যে এমন কোরে ফাকি দিয়ে পালাবে তা স্বপ্নেও জানিনে। কিন্তু আমারও এমন চাটুয্যে বংশে জন্ম নয় যে কারু ভয়ে মুখ দিয়ে মিথ্যে কথা বেরুবে । আসবার সময় তোমার আপন জাটতুতো ভাই বেণী ঘোষালের মুখের উপর কি বলে