डौिग्न झुक्क রম] >) এলাম জানো ? বললাম, রমেশ যেমন শ্রান্ধের আয়োজন করছে, এমন করা চুলোয় যাক, এ অঞ্চলে কেউ চোখেও দেখেনি।" আমার নামে অনেক শার্ল অনেক রকম তোমার কাছে লাগিয়ে যাবে বাব, কিন্তু এটা নিশ্চয় জেনে এই ধৰ্ম্মদাস শুধু ধৰ্ম্মেরই দাস আর কারও নয়। এই বলিয়া গোবিন্দর হস্ত হইতে হকোটা ছিনিয়া লইয়া এক টান দিয়াই প্রবল বেগে কাশিয়া ফেলিলেন রমেশ । না না, বলেন কি, বলেন কি— প্রত্যুত্তরে ধৰ্ম্মদাস ঘড়ঘড় করিয়া কত কি বলিলেন, কিন্তু কাশির ধমকে তাহার একটা বর্ণও বুঝা গেল না। গোবিন্দ সৰ্ব্বাগ্রে আসিয়াছিলেন, স্বতরাং এই নবীন জমিদারটিকে ভাল ভাল কথা বলিবার সুযোগ তাহারই ছিল, অথচ নষ্ট হইতেছে বুঝিয় তিনি তাড়াতাড়ি উঠিয় দাড়াইলেম গোবিন্দ। কাল সকালে, বুঝলে ধৰ্ম্মদাসদা, এখানে আসবো ব’লে বেরিয়েও আসা হ’ল না । বেণীর ডাকাডাকি—গোবিন্দখুড়ো তামাক থেয়ে যাও । একবার ভাবলেম কাজ নেই,—তাঁর পরে মনে হ’ল ভাবখানা বেণীর দেখেই যাইনে। বেণী কি বললে জানো বাবা রমেশ, বলে খুড়ে, তোমরা ত দেখচি হয়েছ রমেশের মুরুব্বি, বলি লোকজন থাবে টাবে ত ? আমিই বা ছাড়ি কেন,—তুমি বড়লোক আছে না আছে,আমার রমেশও কারো চেয়ে থাটো নয়। তোমার ঘরে ত একমুঠো চি ড়ের পিত্যেশ কারু নেই। বললাম, বেণীবাবু, এই ত পথ—দাড়িয়ে একবার কাঙ্গালী বিদেয়ের ঘটাটা দেখে । কালকের ছেলে রমেশ, কিন্তু বুকের পাট ত বলি একে । কিন্তু তাও বলি ধৰ্ম্মদাসদা, আমাদের সাধ্যই বা কি ! ধার
পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২০
অবয়ব