दिउँौग्न झुक्क রম{ রমেশ। তাকে দেখে তো সে কথা মনে হ’ল না জ্যাঠাইমা। জ্যাঠাইমা। হঠাৎ হয়ও না। তবুও এ কথা সত্যি রমেশ । তা সে যাই হোক, সেখানে যখন যাওয়াই হতে পারে না তখন তা নিয়ে চিন্ত৷ করে লাভ নেই। কিন্তু এতক্ষণ যারা এখানে ছিলেন এবং আমি আসি৷ মাত্রই যার সরে গেলেন তাদের তুই বিশ্বেস করিস নে বাবা, তাদের আমি চিনি । রমেশ । কিন্তু তারাই ত এ বিপদে আমার সব চেয়ে আপনার লোক জ্যাঠাইমা। তাদের বিশ্বাস না করলে কাদের করবো ? জ্যাঠাইম । তাই তো ভাব,চি বাব, এ কথার জবাব দেবই বা কি ! ই রে, তোর নেমস্তন্ত্রর ফর্দ তৈরি হয়ে গেছে ? রমেশ । না এখনো হয় নি। জ্যাঠাইমা । সেইটে একটু বুঝে স্বঝে করিস রমেশ । এ গ্রামে, আর এই গ্রামেই বা বলি কেন, সব গায়েই এই ! এ ওর সঙ্গে খায় ন}, ও তার সঙ্গে কথা কয় না,—একটা কাজ-কৰ্ম্ম পড়ে গেলে মানুষের আর দুশ্চিন্তার অস্ত থাকে না । কাকে বাদ দিয়ে কাকে রাখা যায় এর চেয়ে শক্ত কাজ আর নেই। রমেশ । কেন এ রকম হয় জ্যাঠাইমা ? জ্যাঠাইমা । সে অনেক কথা বাবা । যদি থাকিস এখানে, আপনিই সব জানতে পারবি। কারুয় সত্যিকার দোয-অপরাধ আছে, কারুর মিথ্যে অপবাদ আছে, তাছাড়া মামলা মোকৰ্দমা, মিথ্যে সাক্ষী দেওয়া নিয়েও মস্ত দলাদলি । আমি যদি তোর এখানে ছুদিন আগে আসতাম রমেশ, এত উদ্যোগ-আয়োজন কিছুতে করতে দিতাম না। কি যে সেদিন হবে আমি তাই শুধু ভাবচি। এই বলিয়া তিনি নিশ্বাস মোচন করিলেন
পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৬
অবয়ব