বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विउँौग्न दृष्ट রম! చి পরাণ। যা ভেবেছি তাই । ওদের বাড়ী ঢুকতে দিলে কে ? ষষ্ঠী। আচায্যি মশাই ডেকে এনেছেন । ছুদিন ধরে সমস্ত কাজ-কৰ্ম্ম করছেন । পরাণ। ওরা যদি খাদ্যদ্রব্য স্পর্শ ক’রে থাকে ত কোন ব্রাহ্মণই এখানে জল গ্রহণ করতে পারবে না । ক্ষান্ত আড়ালে দাড়াইয়া বোধ হয় শুনিতেছিল তৎক্ষণাৎ বাহির হইয়া আসিল ক্ষান্ত। কেন শুনি হালদার ঠাকুরপো ( রমেশের প্রতি) ই বাবা, তুমিও ত গায়ের একজন জমিদার,বলি সমস্ত দেযই কি এই ক্ষেত্তি বামুনির মেয়ের ? মাথার ওপর আমাদের কেউ নেই বলে কি যতবার ইচ্ছে শাস্তি দেবে ? (গোবিন্দকে দেখাইয়া) ঐ উনি মুখুজ্যে বাড়ীর গাছ পিতিষ্ঠের সময় জরিমানা বলে দশ টাকা আদায করেন নি ? গায়ের ষোল-আন মনসা পূজোর নামে দুজোড়া পঠার দাম ধরে নেন নি ? তবে কতবার ঐ এক কথা নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে চায শুনি ? গোবিনা। যদি আমার নামটাই করলে ক্ষান্তমাসী, তবে সত্যি কথা বলি বাছ। খাতিরে কথা কষ্টবার লোক গোবিন্দ গাঙ্গুলী নয় সে দেশমৃদ্ধ লোকে জানে। তোমার মেয়ের প্রায়শ্চিত্তও হয়েছে, সামাজিক দণ্ডও করেছি,—সব মানি । কিন্তু যজিতে কাঠি দিতে ত আমরা হুকুম দিই নি ? মরলে ওকে পোড়াতে আমরা কাধ দেব, কিন্তু— ক্ষান্ত । মলে তোমার নিজের মেয়েকে কাধে করে পোড়াতে যেয়ে বাছ, আমার মেয়ের ভাবনা তোমাকে ভাবতে হবে না। বলি, ই গোবিন, নিজের গায়ে হাত দিয়ে কি কথা কওনা ? তোমার ছোট ভাজের কাশীবাসের কথা মনে পড়ে না ? হালদার ঠাকুরপোর বেয়ানের তীতি অপবাদ ছিল না ? সে সব বড় লোকের বড় কথা বুঝি ?