তৃতীয় দৃপ্ত রম o কাও দেখে এলাম থেদির মামার বাড়ীতে,—বিশ ঘর বামন কীয়েতের বাস নেই বাবা-দশটা দলাদলি। পটুলা, ই কোরে স্বগৃগ পানে তাকিয়ে যাচ্ছিস যে ? তবে একটা কথা বলতে পারি বাবা, ভিক্ষে-শিক্ষে করতে অনেক যায়গাতেই তো বাই, অনেকে অনুগ্রহও করেন, আমি দেখেচি তোমার বাবুর মত ছেলে-ছোকরাদেরই যা কিছু দয়া মায়া আছে। নেই কেবল বুড়ো ব্যাটাদের । বাগে পেলেই একজন আর একজনের গলায় পা দিয়ে জিভ, বার কোরে তবে ছাড়ে ! এই বলিয়া নিজের জিভ, বাহির করিয়া দেখাইল ভজুয়া। হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ । দীয়। এই গোবিন গাঙলী—এ ব্যাটার পাপের কথা মুখে আনলে প্রায়শ্চিত্ত করতে হয় । জাল করতে, মিথ্যে সাক্ষী দিতে, মিথ্যে মকদম সাজাতে ওর জুড়ি নেই—সবাই ওকে ভয় করে। বেণীবাবু হাতধর— কাজেই কেউ একটী কথা কইতে সাহস করে না। ওই পাচজনের জাত মেরে বেড়াচে | ভজুয়া। সব দেশে এমনি আছে ভট্টচার্য, হমার গায়ে ভি বহুত গুলমালু। আরে জিলা তো—মগর, হমার বাবুজীসে কোই সক্যে নহি । দীচু । না বাবা কেউ পারবে না তা আমিও বলে দিচ্ছি। খেদি একটু পা চালিয়ে চল না । তুই যে— ভজুয়া। হুমার বাবু কি মানুষ আছে,—দেওতা আছে। দীর্ঘ। ই বাবা রমেশ আমার দেবতাই বটে। পটুলা, আবার ই কোরে দাড়ায়। তা ভজুয়াবাবু কোথায় যাচ্ছে ? ভজুয়া। আচার্ঘ্যি ঠাকুরকে বাড়ী। দীচু । তা’ যাও যাও, একটু তরস্ত যাও । আমারাও আলি বাবা। जकारलङ्ग स्थइोम ।
পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৪
অবয়ব