বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ দৃপ্ত রম తి: এই বলিয়। তিনি হকাটা মধুর হাতে দিয়া উঠিয়া গিয়া মধুর তেলের ভাড় হইতে খানিকটা তেল বঁ হাতের তেলোয় লইয়া অৰ্দ্ধেকটা দুই নাক্ ও দুই কানের গৰ্ত্তে ঢলিয়৷ দিয়া বাকিটা মাথায় মাখিয় ফেলিলেন । বঁড়িয্যে। বেলা হ’ল, অম্নি ডুব টা দিয়ে একেবারে ঘরে যাই। এক পয়সার হন দে দিকি মধু, বিকেলবেল দিয়ে যাব। মধু। আবার বিকেল বেলা । মধু অপ্রসন্ন মুখে দোকানে উঠিয়৷ ঠোঙায় করিয়া মুন দিল। বাতুৰ্য্যে। (চুন হাতে লইয়া) তোরা সব হলি কি মধু ? এ যে গালে চড় মেরে পয়সা নিস দেখি । ( এই বলিয়া নিজেই এক থাম্চা চুন ঠোঙায় দিয়া রমেশের প্রতি মৃদু হাসিয়: ) ঐ তো একই পথ,—চল না বাবাজী গল্প করতে করতে যাই । - রমেশ। আমার একটু দেরি আছে। বাতুৰ্য্যে। তবে থাক্ । এই বলিয়া গাড় লইয়া গমনোন্তত হইলেন মধু। বাড়ুৰ্য্যে মশাই, সেই ময়দার পয়সা পাচ আনা কি অমূনি— বাড়ুৰ্য্যে। ই রে মধু, তোদের কি লজ্জ সরম চোখের চামড়া পর্যন্ত নেই ? পাচ ব্যাটা বেটির মতলবে কলকাতা যাওয়া-আসা করতে পাচ পাঁচটা টাকা আমার গলে গেলে, আর, এই কি তোজের তাগাদ করবার সময় হ’ল ? কারো সৰ্ব্বনাশ, আর কারে পৌষ মাস, বটে f দেখলে বাবা রমেশ, এদের ব্যাভারটা একবার দেখলে ? মধু। (গজ্জিত হইয়া) অনেক দিনের—