পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ দৃপ্ত রম! 9.S. বনমালী। ছাব্বিশ। পাই তেরে টাকা পোনের আন । রমেশ । ছাব্বিশ টাকা মাইনে, আর পান তেরে টাকা পোনের আন এর মানে ? বনমালী। গভর্ণমেণ্টের হুকুম কি না। তাই ছাব্বিশ টাকার রসিদ লিখে সবইনস্পেক্টারকে দেখাতে হয়। নইলে সরকারী সাহায্য বন্ধ হয়ে যায় । রমেশ । এতে ছেলেদের কাছে আপনার সম্মান হানি হয় না ? বনমালী। না, এই দেশাচার। তাছাড়া ছেলেরা আমাকে বাঘের মত ভয় করে। বিতিয়ে পিঠ লাল করে দিই। রমেশ । দেবার কথাই। আর সব মাষ্টারের মাইনে কত ? বনমালী। তেইশ টাকা । রমেশ । তেইশ ? একজনের না তিনজনের ? বনমালী। তিনজনের । ন’টাকা, আটটাক আর ছ’টাকা । এও বেণীবাবু দিতে নারাজ। তিনি বলেন আট টাকাটা সাত টাকা হলেই হয় ভাল । রমেশ । সে ঠিক। কর্তা বুঝি তিনিই ? বনমালী। ই, তিনিই সেক্রেটারি। কিন্তু কখনো একটি পয়সাও দেন না। যদু মুখুয্যে মশায়ের কস্তা রম,—সতীলক্ষ্মী তিনি–র্তার দয়া না থাকৃলে ইস্কুল অনেক দিন পূর্বেই বন্ধ হয়ে যেত। রমেশ ৷ বলেন কি ? এ তে শুনিনি । বনমালী। ই, শুধু তার দয়াতেই ইস্কুল চলে ছোটবাবু, আর কারো নয়। একটি ভাইও তার এই ইস্কুলে পড়ে । এবছর তিনিই চাল ছাইয়ে দেবেন বলেছিলেন, কিন্তু কেন যে দিলেন না বলতে পারিনে। হয়ত কেউ ভাঙচি দিয়েছে।