চতুর্থ দৃশু রম 80 গোপাল। শুনলাম তিনি নাকি হেসে বলেছেন ছেটবাবুকে বোলো বিষয়টা তার হাতে দিয়ে একটা মাসূ-হার নিয়ে যেখানকার মানুষ সেখানে চলে যেতে । জমিদারী রক্ষে করা ভীতু লোকের কাজ নয়। রমেশ । তবে বুঝি চুরি করাটাই সে মস্ত সাহসের কাজ বলে ঠাউরেচে ? ভজুয়া, সঙ্গে তোর লাঠি আছে ? ভজুয়া। (লাঠি আম্ফালন করিয়া ) হুজুর । এই বলিয়। প্রস্থানোছত হইল রমেশ । সমস্ত মাছ গিয়ে কেড়ে নিয়ে আয় । এক পাবি ত ? ভজুয়া। ( মাথা নত করিয়া) সিফ হুকুমক নোকর হুজুর! গোপাল । ( অকস্মাৎ অত্যন্ত তয় পাইয়া ) এ যে সত্যি সত্যিই ফৌজদারী বেধে যাবে ছোটবাবু। রমেশ । উপায় কি ? গোপাল । হঠাৎ একটা কাজ করে ফেলা কি ভাল হবে ছোটবাবু ? রমেশ। তবে কি আপনি করতে বলেন ? গোপাল । আমি বলি,—আমি বলি,—থানায় একটা ডাইরি করে,—না হয়, ভাল কোরে একবার জিজ্ঞেস কোরে— রমেশ । তবে সেই ভাল সরকার মশাই । আমার মত ভীতু লোকের এর বেশি কিছু করা উচিতও নয়। ও-বাড়ীর মাইজীকে চিনিস ত ভজুয়া ? চিনিস্ ! বেশ, তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করে আয় গড়-পুকুরের মাছে আমার অংশ আছে কি না। যদি বলেন আছে, নিয়ে আসিস । যদি বলেন নেই,—শুধু চ’লে আসবি । আমার নিশ্চয় বিশ্বাস সরকার মশাই, সামান্ত দুটো মাছের জন্তে রমা মিছে কথা বলবে না।ޙދޯޗި ভজুয়ায় স্ক্রতপদে প্রস্থান।
পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৫২
অবয়ব