faశ్రిక్షా ఢాgు তারকেশ্বরের বাসবাটী। সামান্ত রকমের একটা বিছানা পাতা, তাহাতে বসিয়া রমেশ । রমা ব্যস্ত হইয় প্রবেশ করিল রম। বেশ আপনি। রান্নাঘরে যেই গেছি আর একটু তরকারি জানতে, अनि উঠে হাত-মুখ ধুয়ে দিব্বি ভালমানুষটার মত বিছানায় এসে বসেছেন । কেন উঠলেন বলুন ত ? রমেশ । ভয়ে । রম । ভয়ে ? করি ভয়ে ? অামার ? এই বলয় সে অদূরে উপবেশন করিল। রমেশ । সে ভয় ত ছিলই, তা ছাড়া আর একটা আছে । আজ জ্বরের মত ঠেকৃচে । রম । জরের মত ঠেকৃচে ? এ কথা আগে বললেন না কেন ? স্নান করে ভাত খেতে বসলেনই বা কোন বুদ্ধিতে ? রমেশ । খুব সহজ বুদ্ধিতে । যে-আয়োজন, এবং যে-যত্ন করে খেতে দিলে তাকে না ব’লে ফেরাবোই বা কোন সুবিবেচনায় ? ভাবলাম, হোকৃগে জ্বর,—ওষুধ খেলেই সারবে । কিন্তু এ অন্ন না খেয়ে যদি ফাকে পড়ি, এ ফাক এ জীবনে আর ভরবে না । রম । যান এই বিদেশে সত্যিই যদি জর হয়ে পড়ে, বলুন ত সে কত বড় অন্যায় ? রমেশ । অন্যায় ত আছেই। কিন্তু যে-রাণীকে এতটুকু দেখে গেছি তার স্বহস্তের রান্ন ত্যাগ করাটাই কি কম অন্যায় ছোতো ?
পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৭
অবয়ব