త్తాత్రేక్షా ఢాg গ্রাম পথ। সময় অপরাহ্। তিন দিন উপ পরি ও অবিশ্রাম বারিপাতে পুষ্করিণী খাল-বিল-নাল সমস্তই জলে পরিপূর্ণ হইয় গেছে। পথ অতিশয় কর্দমাক্ত । ক্ষণকাল মাত্র বৃষ্টির বিরাম পড়িয়াছে । লাঠি ও ছাতি হাতে বেণী ও গোবিনা প্রবেশ করিল। দুর্গম পথের চিহ্ন তাহাঁদেয় সৰ্ব্বাঙ্গে কিঙ্কমান । গোবিন্দ । ( অন্তরাল হইতেই উচ্চকণ্ঠে ) বলি, কিসের এত খাতির ছে ! কুটুমের দল এয়েছেন আবদার নিয়ে বাধ কাটিয়ে জল নিকেশ করে দাও, মাঠ হেজে যাবে । গেল, গেলই ! ছোটলোক ব্যাটাদের আস্পৰ্দ্ধার কথা শুনে হাসব কি কাদব ভেবে পাইনে বড়বাবু! বেণী। বল ত খুড়ো! চাষা ব্যাটাদের একশো বিঘের মাঠ হেজে যাবে জল বার করে দাও। স্বমুখের বিলুটার যে বছর সালিয়ানা দুশো ট্যকার জল-কর বিলি হয় । একটা মাছও কি তাহলে থাকবে ? গোবিন্দ । তাও কি কখনো থাকে ? ছোটলোক ব্যাটার, দুটো টাকার মুখ কখনো একসঙ্গে দেখিল নে তোরা,—জনিস,দু-দুশো টাকায় লোকসান কাকে বলে ? বলি, লোক-জন সব মোতায়েন রেখেচ ত ? লুকিয়ে-চুরিয়ে ব্যাটার কোথাও কৃেটেকুট দেবে না ত? বলা যার না বড়বাৰু। প্রাণের দায়ে শীলরা সর্ব পারে। বেণী । দরওয়ান আর গোপাল লস্করকে পাঠিয়েছি পাহার দিন্তে । আর খবর পাঠিয়েছি রমার পিরপুরের প্রজা আকবর লেঠেল আর তার দুই ব্যাটাকে। একশে জনের মোয়াড় আটকাতে পারে তারা । গোবিন্দ । ঠিক করেছ বাবা । কলকেট সেজে ফু দিচ্চি, অীর তোমার চাকর গিয়ে হাজির ৷ বলি ভিজতে ভিজতে কেন রে হরি ? @
পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭৪
অবয়ব