=lasణా ఢాg গ্রামের একাংশ। কয়েকটা ভাঙা মন্দিরের কিছু কিছু দেখা যাইতেছে। বৃক্ষলতা-গুলো সমস্ত স্থান সমাকীর্ণ। মনে হয় এদিকে কদাচিৎ কথনে কেহ আসে মাত্র। বেণী ও গোবিন্দর প্রবেশ গোবিন্দ। (সচকিতে ইতস্ততঃ দৃষ্টিপাত করিয়া ) কে জানে কোন শাল আবার কোথা দিয়ে গুনবে । যে জাল বিস্তার করে দড়িটি ধরে বসে আছি বাবা, একটুখানি টান দিয়েছি অম্নি ঝুপ করে পড়েচে । বেণী । কাজ হাসিল ত ? গোবিন । নইলে কি আর তোমাকে এই বনের মধ্যে না হোক ডেকে এনেচি বাবা ? তুই শাল ভৈরব আচায্যি—তোর নেই এক কড়ার মুরোদ, তুই যাস্ আমাদের বিপক্ষে ? তুই বাস পরকে আগলাতে ? এখন বাস্তু-ভিটেট বাচা ! কি ক’রে মেয়ের বিয়ে দিস তা’ একবার দেখি । গোবিন্দ। (দুই হাতের দশ আঙুল তুলিযা ধরিয) একটি হাজার । কিন্তু শুধু কথায় চিড়ে ভিজুবে না বাবা,-আধাআধি ! বেশী। ( অত্যন্ত খুদী হইয়া) আধা-আধি কেন খুড়ে, দশমানছ’আন । গোবিন্দ। ভ্যাল মোর বাপ রে ! গোবিন্দ। শুধু এই নয় বাবা । স্বমুখে পুজো । বন্ধু মুখুয্যের কঙ্গ এবার মা’কে কি ক’রে আনেন তা দেখতে হবে। আসচে ফাগুনে ঘটা ক’রে ভাইয়ের পৈতেটি কি ক’রে দেন তাও একবার নেড়ে চেড়ে পাচজনকে দেখাধ,—তবে আমার নাম গোবিন গাঙুলী ! বেণী । তারকেশ্বরের কাগুটী তা হ’লে সত্যি বল ?
পাতা:রমা-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮৬
অবয়ব