পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম প; } রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধন । సె$ STCSTSAAAAAAAS শিষ্য। স্বধৰ্ম্মাচরণ কাহাকে বলে ? গুরু। সে প্রশ্ন ত পূৰ্ব্বেই করিয়াছ, এবং যথাসাধ্য উত্তর দিয়াছি। শিষ্য। আর একবার বলুন। আমার বুঝিবার পন্থী পরিষ্কার করিয়া লই । g গুরু। যে, যে বর্ণ বা আশ্রমী—শাস্ত্র-বিধি-বিহিত তাহার সেই কাৰ্য্য করা, তাহার বর্ণাশ্রম-ধৰ্ম্ম। শিষ্য। আপনি বলিয়াছেন, মানুষ বাসনার যে সংস্কার লইয়া জন্ম গ্রহণ করে, তাহাও তাহার গুণ— গুণও ধৰ্ম্ম, অতএব তাহার আচরণ করাও স্বধৰ্ম্মাচরণ। গুরু। তাহা বলিয়াছি, উহা কেবলমাত্র আমার মন গড়া কথা নহে। আমাদের শাস্ত্রও ঐ কথা বলিয়াছেন, যথা,— সদৃশং চেষ্টতে স্বস্তা: প্রকৃতেজ নবানপি। . প্রকৃতিং যাপ্তি ভূতানি নিগ্ৰহ: কিং করিষ্যতি । শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা—৩য় অ, ৩৩ গ্লোঃ । “জ্ঞানবান ব্যক্তিও স্বীয় স্বভাবের অনুরূপ কৰ্ম্ম করিয়া থাকেন ; অতএব যখন সকল প্রাণীই স্বভাবের অনুবর্তী, তখন ইন্দ্রিয় নিগ্ৰহ করিলে কি হইতে পারে ?” । শিষ্য। ইহাতে কি বুঝিলাম ? গুরু। ইহাতে তোমার বুঝা উচিত, মানুষ, যেমন কত কৰ্ম্মের ফলানুসারে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশু ও শূদ্র প্রভৃতি পৃথক পৃথক জাতি হয়, এবং শাস্ত্রে তাহাদের