পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ग श्रृं; ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ Ꮌ Ꮌ © পরিপাক করিতে পারি না, আর ঐ বৈরাগী বেটার তিন বেলা তিন কুণ্ড আহার করিয়া এই চীৎকার করিয়া করিয়া বেড়ায়,—তার কারণ কি ভায় ?” জগাই উত্তর করিলেন,—"জান কি, ও বেটার উদর পূর্ণ করিয়া আহার করিয়া ঐ যে দুই হস্ত তুলিয়া নাচে আর চীৎকার করে—‘ও রাধে দয়া কর’—সেই চীৎকার আর বাকুনীতে ভুক্ত পদার্থ সব জীর্ণ হইয়া যায়।” কথাটা যুক্তিসঙ্গত বিবেচিত হওয়ায়, এবং সম্ভবতঃ তৎসময়ে অম্নোদগার কষ্টকর হওয়ায় মাধাই বলিল,—“ঠিক কথা, ঐ জন্যই উহাদের ক্ষুধাবৃত্তি অত অধিক। ভাল, আমিও তাহাই করি না কেন।” n মাধাই, ভাগীরথী-তটপ্রান্তে দাড়াইয়া দুই বাহু উদ্ধে তুলিয়া নাচিতে লাগিল, আর পুনঃ পুনঃ চীৎকার করিয়া ডাকিতে লাগিল—“ও রাধে দয়া কর।” ডাকিতে ডাকিতে তাহার সুপ্ত সংস্কার জাগিয়া উঠিল,—রাধা-প্রেমের আস্বাদ জীবাত্মার মনে পড়িল । দুই চক্ষু ফাটিয়া ধারাকারে অশ্রু বিগলিত হইল। এই সময়ে চৈতন্যদেবের দলও সেই পথে সংকীৰ্ত্তন করিতে আসিয়া মাধাইয়ের ঐ অবস্থা দর্শন করিলেন, এবং প্রেমের পুলকে পূর্ণিত হইয়া, তাহার প্রেমকারুণ্য শীতল বাহুযুগলে মাধাইয়ের অসদাচরণ তপ্ত দেহ বিজড়িত করিয়া ধরিলেন। মাধাইয়ের জীবনের নূতন কাৰ্য্য আরম্ভ হইল।