পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ग्न श्रृं: ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধন । Տ ՋԳ جام حجج - است.

গুরু। হিন্দুর মত ঈশ্বরকে নিকটে আর কেহ দেখে না। হিন্দু বলেন,— ঈশ্বরঃ সৰ্ব্বভূতানাং হৃদেশেহৰ্জ্জুন তিষ্ঠতি । ভ্রময়ন সৰ্ব্বভুতানি যন্ত্ররূঢ়ানি মায়য় । তমেব শরণং গচ্ছ সৰ্ব্বভালেন ভারত। তৎ প্রসাদাৎ পরং শান্তিং স্থানং প্রাপ্ত্যসি শাশ্বতম্ ॥ শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা—১৮শ অঃ, ৬১-৬২ শ্লোঃ । “হে অৰ্জুন ! যেমন স্বত্রধার দারুঘন্ত্রে আরূঢ় কৃত্রিম ভূতসকলকে ভ্রমণ করাইয়া থাকে, তদ্রুপ ঈশ্বর সর্বভূতের হৃদয়ে অবস্থান করিয়া তাহাদিগকে ভ্রমণ করাইতেছেন । হে ভারত ! এক্ষণে তুমি সকল বিষয়ে তাহারই শরণাপন্ন হও, তাহার অনুকম্পায় পরম শান্তি ও শাশ্বত স্থান প্রাপ্ত হইবে।” 參 এত নিকটে ঈশ্বরকে আর কোন জাতি দেখিয়া থাকে ? তার পরে, হিন্দুর ঈশ্বর তাহার প্রাণের আরও নিকটে— আরও প্রাণের মাঝারে হিন্দু ঈশ্বরকে রাখিয়া অভিমানের অশ্রুজলে নয়ন ভাসাইয়া বলে,— “বধু, কি আর বলিব তোরে, অলপ বয়সে পীরিতি করিয়া রহিতে না দিলি ঘরে ॥” হিন্দুর মত এই যে, ঈশ্বর আর জীবে বড় অধিক প্রভেদ নাই—জীবাত্মা পরমাত্মারই অংশ। পরমাত্মা বা পরমেশ্বর অনন্ত শক্তিময়, তাহার শক্তির ইয়ত্ত করা