পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»भ *: ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ 4η তাহাদের কি ধৰ্ম্ম নাই ? ধৰ্ম্ম আছে, কিন্তু ধৰ্ম্ম জ্ঞান নাই। তবে কথা এই যে, মানুষ জীবস্বষ্টির চরমোন্নতি,—ধৰ্ম্ম সাধনার উপযুক্ত ক্ষেত্র, তাই মানুষ জন্ম জন্মান্তরের অনুশীলন-বলে ধৰ্ম্ম জ্ঞানে সমুন্নত হয় ও সাধনপথে অগ্রসর হইয় পড়ে। অন্যান্য জীবদেহে সাধনার উপযুক্ত ক্ষেত্র নহে। তাই মানুষ ইচ্ছা করিলে; চেষ্টা করিলে সহজেই ধৰ্ম্ম সাধনায় সাফল্য লাভ করিতে পারে, অন্তান্ত জীব পারে না । কিন্তু তাহাদেরও ধৰ্ম্ম আছে,— তাহাদের ধৰ্ম্মে, আর মানুষের ধৰ্ম্মে প্রভেদ নাই । শিষ্য। পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিক হাৰ্ব্বাটম্পেন্সার প্রভৃতির মতে ক্রমবিবৰ্ত্তনবাদে এক বিন্দু বালুকাকণা মহা মহীধরে পরিণত হয়, বা মানুষ হইয়া জ্ঞানের অনন্ত জ্যোতি । বিকীর্ণ করিয়া থাকে। গুরু । সে ** মন্দ কি ? বালুকাকণার যে ধৰ্ম্ম আছে, সেই ধৰ্ম্মই তাহাকে উন্নতির পথে টানিয়া লইয়৷ ক্রমবিবৰ্ত্তনবাদেই বল, আর জন্মান্তরীয় উন্নতির পথেই বল, তাহাকে ক্রমে ক্রমে বহু জন্মের পথ দিয়া মানুষে পরিণত করিবে, তাহাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ? ধৰ্ম্ম সকলেরই এক, ইহা নিশ্চয় জানিও । শিষ্য। ধৰ্ম্মের আবশু কত সকলেরই সমান, এ কথার উদেশু কি ? গুরু। যখন সকলেরই ধৰ্ম্ম আছে, তখন ধৰ্ম্মের