পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধন । ব্রত করে, সে কেবল ধৰ্ম্ম আছে, তাহাই বুঝিবার জন্য । তাহার কোমল হৃদয়ে ধৰ্ম্মবীজ আরোপণের জন্ত । যুবতী অনন্ত ব্ৰত, দূৰ্ব্বাষ্টমী ব্রত, অন্নদান ব্রত প্রভৃতি ব্ৰত করে—কৰ্ম্মফলে ধৰ্ম্মজীবনের বৃদ্ধি করিবার জন্য। মানুষে দোল দুর্গোৎসব পূজা অৰ্চনা যাগ যজ্ঞ প্রভৃতি করে, দেব-শক্তি লাভ করিয়া জড়ত্বের হস্ত হইতে কথঞ্চিৎ রক্ষা পাইয়া ধৰ্ম্মশক্তির বর্দ্ধন জন্য। যোগী যোগসাধনা করেন, কৰ্ম্মের সংস্কার-বীজ বিদগ্ধ করিয়া যোগের আগুণে জড়ত্ব গলাইয়া পূর্ণ চৈতন্তের দিকে অগ্রসর হইবার জন্য,— এইরূপে জগতে যত প্রকার ধৰ্ম্মসাধনার পথই দেখিবে, অধিকার ভেদে, অবস্থা ভেদে কিঞ্চিৎ অগ্রসর হইবার জন্য। কোন ধৰ্ম্মপথই নিরর্থক নহে। সকলেই পূর্ণধৰ্ম্ম লাভের জন্ত অগ্রসর হইতেছে। তবে কথা এই যে, ধৰ্ম্মপদ্ধতি অনুসারে—ধৰ্ম্মের সাধনানুসারে কেহ অনেকদূর অগ্রগামী হয়, কেহ বা অল্পদুরে থাকে। শিষ্য। তবে কি এমন কোন পথ নাই, এমন কোন সাধনার উপায় নাই—যে পথে গেলে, যে সাধনায় চিত্ত সমর্পণ করিলে, মানুষ পূর্ণধৰ্ম্ম বা পূর্ণানন্দ লাভ করিতে পারে ? গুরু। হুঁ, তা আছে বৈ কি । শিষ্য। তবে সেই পথেই সকলেই যায় না কেন – সেই সাধন-পদ্ধতিই সকলে অবলম্বন করে না কেন ?