পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ శి 8 సి আবাহন ও পূজা আমি কি জানি প্রভু!—কিছুই জানি না। বিসর্জনও জানি না,-কিন্তু এ সকল আমার দ্বারা অনুষ্ঠিত হইল,—যাহা জানি না, তাহাতে অবশ্যই অঙ্গহানি হইয়াছে,—তুমি আমাকে ক্ষমা করিও । এইরূপে বিসর্জন করিয়া, তাহার গঠিত শিবলিঙ্গটিে দূর করিয়া ফেলিয়া দিয়া চলিয়া গেল। যতক্ষণ পূজা,ততক্ষণই তাহার কাঠ-পাথর বা মাটির তাল পূজা করে— বিসর্জন হইলে তখন পদদ্বারাও দলিত করিতে ভয় করে ন,—তাহারা জড়ের পূজা করে না, চৈতন্তেরই আরাধনা করিয়া থাকে। নিরাকার—নিৰ্ব্বিকার-অবাত্মনসোগোচর—এই বড় কথাগুলা আমরা সহজে বলিতে পারি, কিন্তু ধারণা করিতে পারি না। কিন্তু ঈশ্বর সর্বজ্ঞ,—অন্তর্যামী,—সকলেরই হৃদয়-দেশে তিনি বিরাজমান। যদি নিরাকার উপাসকের মনের ভাব র্তাহার গ্রাহ হয় বা প্রতি উৎপাদনে সক্ষম হয়,—তবে সাকার উপাসকের আরাধনাও র্তাহার চরণতলে । পহুছিবে। নিরাকার উপাসক পঞ্চভূতে নিৰ্ম্মিত দেহ দ্বার, বাক্যের দ্বারা, মনের দ্বারা তাহাকে ডাকিয়া থাকেন, আর সাকার উপাসকও তাছাই করিয়া থাকে,—পার্থক্য এই যে, সে একটা মনের মত প্রতিমা গড়াইয়৷ তদুপরি র্তাহাকে নির্দিষ্ট করিয়া লয়-সমস্ত ব্ৰহ্মাণ্ডে ছড়াইয়া দিয়া দিশেহারা হয় না। হিন্দুরা বিবেচনা করেন,—প্রথম সাধকের সেটা আরও উত্তম