পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ ২৬৯ আদি লাভ করা হইত। কিন্তু আত্মার উন্নতি বিষয়ে তাহাতে কিছু নাই। না থাকিবারই কথা,—যখন ভগবান বেদের প্রবর্তয়িত, তখন মানব-সমাজ নূতন প্রতিষ্ঠিত— তখন স্বধৰ্ম্মাচরণেরই প্রয়োজন, তাই বেদের প্রকাশ। তার পরে, দ্বাপরে প্রয়োজন বোধে রস ও শক্তির সাধনা ৷ পূজ্যপাদ শ্ৰীধরস্বামী বেদশাস্ত্রের এইরূপ অর্থ করিয়াছেন যে,—“ত্রিগুণাত্মকাঃ সকাম যে অধিকারিণস্তদ্বিষয়াঃ কৰ্ম্মফলসম্বন্ধপ্রতিপাদক। বেদাঃ ”—“বেদ ত্রিগুণাত্মক অর্থাৎ সকাম ব্যক্তিদিগের কৰ্ম্মফলপ্রতিপাদক ।” অতএব, বুঝিয়া দেখ যে, প্রাগুক্ত বচনাদিতে বেদের নিন্দ করা হয় নাই ; কেবল বলা হইয়াছে যে, বেদোক্ত ধৰ্ম্ম সকাম কৰ্ম্মময়। মানুষ যত দিন স্বধৰ্ম্মাচরণ অর্থাৎ গুণ-কৰ্ম্ম করিতে থাকিবে, ততক্ষণ বৈদিকধৰ্ম্মের আচরণ করিবে, কিন্তু তৎপরে সে ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিবে । তাই রামানন্দ বলিয়াছেন,—“স্বধৰ্ম্মত্যাগ সৰ্ব্ব সাধ্য সার । বেদোক্ত ধৰ্ম্মই এখানে স্বধৰ্ম্ম বলা হইয়াছে । বেদোক্ত ধৰ্ম্ম সকাম —স্বৰ্গাদি তাহার ফল ; অতএব, তাহা পরিত্যাগ করিয়া ভগবানে আত্মসমৰ্পণ করাই শ্ৰেয়ঃ। তাই ভগবান বলিয়াছেন,— সৰ্ব্বধৰ্ম্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ । অহং ত্বাং সৰ্ব্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচ: | শ্ৰীমন্তগবদগীতা—১৮ অঃ, ৬৬ গ্লোঃ ।