পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ २byb শিষ্য। বুঝিলাম ; কিন্তু এই সাধ্য সাধনার উপায় কি ? গুরু। এই জ্ঞানকে বা ঈশ্বর বিষয়ক জ্ঞান করিবার জন্য তত্ত্ব বিষয়ের আলোচনা আরম্ভ করিতে হয়। শিস্য। এ জগতে এমন লোক কম আছে, ঈশ্বর আছেন, ইহা যে না জানে। ঈশ্বর আছেন, ঐ জ্ঞান না থাকিলেও ঈশ্বর বলিয়া একটা কথা যে, আবহমান কাল হইতে চলিয়া আসিতেছে, তাহা সকলেই জানে। কিন্তু কেহ কেহ তাহাতে নিষ্ঠাবান আছে, কেহ কেহ নাই। কেহ কেহ তাহাকে প্রাণের মানুষের ন্যায় ভক্তি করে, কেহ তাহাকে জানে, কিন্তু ডাকে না, কেহ তাহার অস্তিত্বেও বিশ্বাস করে না । জ্ঞান যখন মানবহৃদয়ের বৃত্তিবিশেষ, তথন সকল মানবেই জ্ঞান আছে, সন্দেহ নাই ; তবে কোন মানব ভগবানকে জানিতে পারে, কোন মানব জানিতে পারে না কেন ? ধূমেনাব্রিয়তে বহ্নিৰ্যথা দর্শে মলেন চ। ষথোল্বেনাবৃতে গর্ভস্তথা তেনেদমাবৃতম্। আবৃতং জ্ঞানমেতেন জ্ঞানিনো নিত্যবৈরিণ। কামরূপেণ কৌন্তেয় দুষ্পরেণানলেন চ | ইন্দ্রিয়াণি মনোবুদ্ধিরস্তাধিষ্ঠানমুচ্যতে। এতৈৰ্ব্বিমোহয়ত্যেষ জ্ঞানমাবৃত্য দেহিনম্। তন্মত্ত্বেমিন্দ্রিয়াণ্যদে নিয়ম্য ভরতম্ভ । পাপ নং প্ৰজহি হেনং জ্ঞানবিজ্ঞাননাশনম্। শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা—৩য় অঃ, ৩৮-৪১ গ্লোঃ ।