পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম পঃ ] রসতত্ব ও শক্তি-সাধন। Rఫిలి “যাহারা সৰ্ব্বত্র সমদৃষ্টিসম্পন্ন, সৰ্ব্বভূতের হিতানুষ্ঠানে নিরত ও জিতেন্দ্রিয় হইয়া অক্ষর, অনির্দেশু, অব্যক্ত, অচিন্তনীয়, সৰ্ব্বব্যাপী, হ্রাস-বৃদ্ধিবিহীন, কুটস্থ এবং নিত্য পরব্রহ্মের উপাসনা করে, তাহারা আমাকেই প্রাপ্ত झुम्न ।” এখানে ভক্ত অৰ্জুনের এক প্রশ্ন ছিল, সে • 4ಕ್ಕೆ যে,—নিগুণ ব্রহ্মের উপাসনা জীবের পক্ষে হিতকর, কি সগুণ ব্রহ্মের উপাসনাই হিতকর ? তাই ভগবান বলিলেন— “সগুণের উপাসনাই হিতকর,— কেন না, মানুষ যখন সান্ত, তখন অনন্তের ধারণ করবে কি প্রকারে ? মানুষ যখন গুণসম্পন্ন, তখন নিগুণের উপাসনা কি করিয়া তাহার আয়ত্তীর্ভূত হইতে পারিবে ?” ভগবান তাই আরও স্পষ্ট করিয়া কথাটা বলিয়া দিয়াছেন,— । ক্লেশোহধিকতরস্তেষামব্যক্তাসক্তচেতসাম্। অব্যক্তা হি গতিদু:খং দেহবস্তিরবাপ্যতে। m" শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা—১২শ অঃ, ৫ গ্লোঃ। “দেহাভিমানীরা অতি কষ্ট্রে অব্যক্ত গতি লাভ করিতে সমর্থ হয়। অতএব যাহারা অব্যক্ত ব্রহ্মে আসক্তমনা হয়, তাহারা অধিকতর দুঃখভোগ করিয়া থাকে।” তজ্জন্ত দেহধারী মানুষের কৰ্ত্তব্য এই যে, অবাঞ্ছ। মনসোগোচর অনির্দেগু ব্রহ্মোপাসনা না করিয়া, সগুণ ব্ৰন্ধের উপাসনা করিবে। ভগবান রলিতেছেন,— ।