পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२:08 অহৈতুকী ভক্তি। [ ৩য় অঃ கற_க_ যে তু সৰ্ব্বণি কৰ্ম্মাণি ময়ি সংস্থ্যস্ত মৎপরাঃ। অনন্তেনৈব যোগেন মাং ধ্যায়স্ত উপসতে ॥ তেষামহং সমুদ্ধৰ্ত্তা মৃত্যু-সংসারসাগরাৎ । ভবামি ন চিরাৎ পার্থ ময্যাবেশিতচেতসাম্ ॥ ময্যের মন আধৎস্ব ময়ি বুদ্ধিং নিবেশয়। নিবসিষ্যসি ময্যেব অত উৰ্দ্ধং ন সংশয়ঃ ॥ শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা—১২শ অঃ, ৬-৮ শ্লোঃ । “যাহারা মৎপরায়ণ হইয়া আমাতে সমস্ত কাৰ্য্য সমর্পণ পূৰ্ব্বক একান্ত ভক্তি সহকারে আমাকেই ধ্যান ও উপাসনা করে ; হে পার্থ ! আমি তাহাদিগকে অচিরকালমধ্যে এই মৃত্যুর আকর সংসার-সাগর হইতে উদ্ধার করিয়া থাকি। তুমি আমাতে স্থিরতররূপে আহিত ( স্থাপিত) ও বুদ্ধি সন্নিবেশিত কর, তাহা হইলে পরকালে আমাতেই বাস করিতে সমর্থ হইবে ; তাহাতে সন্দেহ নাই।” এক্ষণে কি প্রকারে ঈশ্বরপরায়ণ হইতে হইবে,—কি করিয়া তাহাতে ভক্তিমান হইবে ? কোন পদার্থের সম্বন্ধে যে অনুরক্তি, প্রেম, ভালবাসা, তাহারই নাম ভক্তি। এই ভক্তি দুই প্রকারে বিভক্ত। পরা ভক্তি ও অপর ভক্তি। ঈশ্বরে ভালবাসার নাম পরা ভক্তি এবং পুত্ৰকলত্রাদির প্রতি ভালবাসার নাম অপর ভক্তি বা গৌণীভক্তি, কিন্তু ভালবাসা বা অনুরাগ বিষয় একই,--কেবল আধেয় ভেদে নামভেদ হয় মাত্র । ঈশ্বরে যে ভালবাসা বা ভক্তি, তাহ “আমি ভগবানকে ভালবাসি’ এইরূপ চিন্তা করিলেই হইবে