পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধন । ৩২১ গুরু। নন্দ যশোদা যে ভাবে ভগবানকে ভালবাসিতেন, সেই ভাবের নাম বাৎসল্য প্রেম। " .. " শিষ্য। ননী যশোদা যে ভাবে শ্ৰীকৃষ্ণকে ভালবাসিতেন, জগতের সকলেরই পিতা মাতা সকল সন্তানকেই সে ভাবে ভালবাসে, তাহা কি বাৎসল্য প্রেম নহে ? গুরু। হা, তাহাও বাৎসল্য প্রেম। তবে মানবে সেই । প্রেম অপিত হইলে তাহা ক্ষুদ্র ; আর ভগবানে অর্পিত । হইলে, তাহা বৃহৎ । নন্দ যশোদা যোগমায়া দ্বারা আচ্ছন্ন হইয়া ভগবানকে পুত্ররূপে ভালবার্সিতেন,-আর অন্ত লোকে মানুষকেই বাৎসল্য প্রেমে ভালবাসিয়া থাকে। শিষ্য। বুঝিতে পারিলাম না। গুরু । কি বুঝিতে পারিলে না ? শিষ্য । নন্দ যশোদা ভগবানকে বাৎসল্য ভাবে ভালবাসিতেন, আর মানুষ, মানুষকে ভালবাসে। নন্দ যশোদার সেই বাৎসল্য মুক্তির কারণ হইয়াছিল,—আর অন্তের বন্ধের কারণ হয়। কেন, জীবও ত ভগবান – জীবও ত তিনি। সমস্ত বিশ্বইত তিনি,—তবে মানুষের বন্ধনের কারণ হইবে কেন ? : * গুরু। মানুষ ভালবাসে কাহাকে ? জড়কে, না চৈতন্তকে ? জীবমাত্রেই জড় ও চৈতন্তের মিশ্রণ পদার্থ। জড়াশ্ৰিত চৈতন্ত জীব। কিন্তু মানুষ চৈতন্যকে পরিত্যাগ করিয়া জড়কে ভালবাসে-বাধিতে চেষ্টা করে, ভক্তি