পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२९ বাৎসল্যপ্রেম । [ ৩য় অঃ করে। মানুষ যাহাকে ভালবাসে, তাহার জড়ের মুখই ইচ্ছা করে,—দেহ, ইন্দ্রিয়, মন, সবই জড়। মানুষ যদি জড়কে না ভালবাসিবে, তবে জড়ের বিয়োগে অর্থাৎ মৃত্যুতে লোকে শোক করিবে কেন ? পুত্রাদির কোন ইন্দ্রিয় বিলোপ হইলে কাদিবে কেন ? শিষ্য । নন্দ যশোদাও কি শ্ৰীকৃষ্ণের জড় ভাগের জন্য আকুল ছিলেন না ? গুরু। শ্ৰীকৃষ্ণের জড় কোথায় ? তিনি পূর্ণ চৈতন্য। শিষুLL এটা নিতান্ত অন্ধ ভক্তির কথা। যখন মানুষী দেহ ধারণ করিয়াছেন,—যখন মনুষ্যগর্ভে জন্ম গ্রহণ করিয়া মানুষ হইয়াছেন, তখন জড় ও চৈতন্য যেমন মানুষে থাকে,—তিনি যিনি হউন, তাহাতেও তাহাই আছে। গুরু। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম বিবরণটা শোন, তাহা হইলেই বুঝিতে পারিবে, তোমার আমার দ্যায় তিনি জড়াশ্রিত হইয়া জন্মগ্রহণ করেন নাই। তোমার আমার বা সাধারণ মানুষের দ্যায় তিনি জড়ের বন্ধনে আবদ্ধ হইয়া প্রাকৃত জনের ন্তায় পৃথিবীতে আবিভূত হয়েন নাই। শ্ৰীমদ্ভাগবত হইতে শ্ৰীকৃষ্ণের জন্ম বিবরণ বলতেছি, শ্রবণ কর। “অনন্তর কংস কর্তৃক ক্রমে দেবকীর ছয় বালক নিহত হইলে ভগবান বিষ্ণুর কলা, যাহাকে অনন্ত বলা যায়, তিনি দেবকীর সপ্তম গর্ত হইলেন। আননারূপ ভগবান অবতীর্ণ হইবেন, ইহাতে ঐ গর্ভ-যেমন হৰ্ষ