পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা। \Oלס আত্মসহিত ব্ৰজপুরী অবলোকন করিয়া যশোদার যৎপরোনাস্তি বিস্ময় হইল। তিনি আপনা আপনি কহিতে লাগিলেন—একি স্বপ্ন। পরে চতুর্দিক নিরীক্ষণ করিয়া আপনিই বলিলেন,—স্বপ্ন নয়, ইহা বুঝি ভগবান হরির মায়া। তদনন্তর বিবেচনা করিয়া বলিলেন,—দেবমায়া নয়, তাহ হইলে অন্তে দেখিতে পায় না কেন ? আমারই বুঝি বুদ্ধি বিপৰ্য্যয় হইয়াছে,—দর্পণে যদ্রুপ মুখ দেখে, তদ্রুপ এতন্মধ্যে বিশ্ব দেখিতেছি। তারপর আপনিই বিচার করিয়া বলিলেন, ঐরূপ ও নহে ; তাহা হইলে শ্রীকৃষ্ণ ও এতন্মধ্যে প্রতীয়মান কেন হইবেন ? পরিশেষে আশঙ্কা করিতে করিতে কহিলেন,—অস্তরে ও বাহিরে একরূপে বুঝি জগৎ প্রতীত হইতেছে। ক্ষণেক পরে আপনিই কহিলেন,— তাহাও নহে, তাহ হইলে বিম্ব প্রতিবিম্বের ন্যায় পরস্পর বৈপরীত্যে প্রতীত হইত। এইরূপ আশঙ্কা করিয়া অন্ত প্রকার বিতর্ক করতঃ কহিলেন,—আমার বালকের বুঝি হা স্বাভাবিক কোন অচিন্ত্য ঐশ্বৰ্য্য হইবে। পরে শেষ পক্ষ অবলম্বন করিয়া বলিতে লাগিলেন, এই ঐশ্বৰ্য্য অত্যন্ত অচিন্তাই বটে। অহো ! যাহা চিত্ত, মন, বাক্য এবং কৰ্ম্মদ্বারা বিতর্কের বিষয় নয়, যাহা জগতের আশ্রয়, যাহার অধিষ্ঠান হেতু বুদ্ধিবৃত্তি অভিব্যক্ত হয় এবং যে পদ হইতে এই জগৎ প্রতীয়মান হইতেছে, সেই পদে প্রণত হই। হায়! আমি যশোদা নামী গোপী, আমার পতি এই নন্দ– ठे