পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা । \Oףס তাই সমষ্টি ভাবে—পুত্রভাবে নন্দ যশোদার দ্যায় বাৎসল্য প্রেম শিক্ষা করিতে হয় । ইহাতে ভগবৎ জ্ঞান থাকিলে নন্দ যশোদার পুত্রবৎসল্য পূর্ণরূপে প্রতিভাসিত হইত কি ? তবে কেবল পুত্ররূপ মারাজালে জড়াইয় পড়িলেও অধঃপতন হয়, তাই কৃষ্ণ নারায়ণের অংশজ্ঞান । তাই যশোমতির মধ্যে মধ্যে ঐশ্বৰ্য্য দর্শন। আমরাও যখন বিশ্বকে ৯ রায়ণের অংশ বলিয়া জানিব,—আমরাও সমস্ত জগতে নারায়ণের ” ঐশ্বৰ্য্য দর্শন করিব, তখন মুগ্ধ হইয়া পড়িব । কিন্তু সমষ্টিভাবে পুত্ররূপে জগতকে সেবা করিতে পরিলে, কৃতকৃতার্থ হইব না কি ? তখন মুক্তর আর বাকি থাকিবে কি ? কিন্তু আমি বলিতেছি, জগৎ নারায়ণ–এই জ্ঞান সম্পূর্ণরূপে দুীভূত হওয়া চাই—আমি পিতা বা মাতা, আর ব্যষ্টি বিশ্ব বা সমষ্টি বিশ্বেশ্বর আমার পুত্ৰ—আমার স্নেহের সন্তান, আমি প্রাণের টানে— বাৎসল্য প্রেমের আকর্ষণে সেবা করিয়া, যত্ন করিয়া,—প্রতিপালন করিয়া সুখী হইব।-- হাই বাৎসল্য প্রেম। এই বাৎসল্যপ্রেম সাধোর শ্রেষ্ঠ। " শিষ্য। এভাবে ঈশ্বরকে ভাবিলে, র্ত হাকে ক্ষুদ্র করা হয় না কি ? ঈশ্বর ছোট, আমি বড়,- এ ভাব কি ভাল ? গুরু। প্রেমের কাছে ছোট বড় নাই। ঈশ্বর বৃহৎ— বিরাট-বিপুল ঐশ্বৰ্য্যশালী এবং আমাদের শাসক ও কঠোর দণ্ডদাতা—এ ভাব মনে থাকিলে, অনেক দূরে দূরে থাকিতে হয়। ঐশ্বৰ্য্যভাবের সঙ্গে সঙ্গেই ভয় আইসে। কিন্তু ভাল ( २२ )