পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૭ના বাৎসল প্রেম। ৩য় অ বাসায় ভয় থাকা কৰ্ত্তব্য নহে। চরিত্র গঠনের জন্য ভক্তি ও আজ্ঞাবহতা অভ্যাসের আবশুক হয় বটে, কিন্তু চরিত্র গঠিত হইয়া গেলে, প্রেমের ভাব হৃদয়ে জাগিয়া উঠিলে, তখন আর সাধক তত দূরে থাকিতে পারেন না। র্তাহার হৃদয় তখন র্তাহাকে সেবা করিতে, যত্ব করিতে, নিকটে পাইতে আকুল হয়। এই আকুলতাই সন্তানবাৎসল্য—এই আকুলতার শেষাবস্থার নামই বাৎসল্যপ্রেম। পিতা মাতার নিকটে—সন্তানের সর্বদাই আব্দার,— সৰ্ব্বস্ব দিয়া, সৰ্ব্বশক্তির সংযোগ করিয়া সস্তান পালন করিয়া তথাপি পিতা মাতার সাধ পুরে না। সন্তানের জন্ত পিতামাত সহস্রবার আত্মত্যাগ করিতে পারেন। আপনি উপবাসী থাকিয়া সন্তানের উদর পূর্ণ করেন, আপনি চীরবস্ত্র পরিয়া সন্তানকে নববস্ত্রে মুসজ্জিত করেন,— আপনি রোগ শয্যায় পড়িয়া সন্তানের মঙ্গল কামনা করেন, আশা নাই, আকাঙ্কা নাই—কেবলই পুত্রের মঙ্গল কামনা। পুত্রের গুণ শ্রবণে—পুত্রের প্রশংসা শ্রবণে পিতা মাতার হৃদয় পুলকিত হয়,—সৰ্ব্বস্ব দিয়াও সন্তানের স্বধ সাধন সম্পন্ন করিতে পিতামাতা আনন্দ বোধ করেন। ঈশ্বরকে এমনই ভাবে ভালবাপিতে পারিলে, তাহাকেই বাৎসল্য প্রেম বলে। সকল কাজেরই আদর্শ চাই, তাই ভগবান এই বাৎসল্যপ্রেম শিক্ষা দিবার জন্য নন্দগৃহে পালিত,—তাই নন্দ যশোদা যে প্রকারে ভগবানকে বাৎসল্য