পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ম পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি সাধন । S84 ক্রমে ঐ অবস্থার আরও গাঢ় তা হইলে রজস্তম একেবারে অভিভূত হইয়া পড়ে, আর উহাদের অস্তিত্বের উপলব্ধিই হয় না। তখন সত্ত্বগুণের অতীব উদ্দীপিত অবস্থা হয়, সেই সময়ে বুদ্ধি ও বিবেক জ্ঞান হয়, জীব আর বুদ্ধি যে পৃথক, স্বতন্ত্র তাহারই উপলব্ধি হয়,—সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধি ঈশ্বরের সংযোগ শ্লথ হইয়া পড়ে, এই অবস্থার আরও গাঢ়ত হইলে, বুদ্ধি পুরুষের সংযোগ একেবারেই ছিন্ন इड़ेब्र যায়, যে সত্ত্বগুণ বুদ্ধি জীবের তাদৃশ লিবেক বুদ্ধি জন্মাইয় দিয়াছিল, সেই সত্ত্বগুণও এককালে অভিভূত হইয় পড়ে, তখন আর গুণবন্ধন থাকে না--তখন জীব স্বরূপে অবস্থিত হন,—তখন তিনি কেবল সেই অবস্থা মাত্রেই থাকেন,— তাই মুক্তিকে “কৈবল্য” বলে। এখন ভাবিয়া দেখ, প্রেমিক যখন প্রেমের স্বাভাবিক শক্তি অনুসারে প্রেমিকের সহিত অভিন্নতা প্রাপ্ত হইবেন,— এই প্রকারে প্রেমিকে যতই একাগ্রত হইবে, ততই চিত্তের অন্য বিষয়বৃত্তি নিরুদ্ধ হইবে,—তখন একমাত্র সেই প্রেমিক— সেই ধোয় বিষয়েরই মাত্র জ্ঞান থাকিবে,—ধ্যেয় বিষয়ের সহিত মাখাইয়া নিজের স্বরূপোপলব্ধি হইবে,-"স্বতরাং উপাস্ত, উপাসনা এবং উপাসক,—প্রেম, প্রেমিক ও প্রেমিক থাকিবে না। কারণ তখন কেবলই স্বরূপে প্রকাশমান হইবেন । | কিন্তু এই ভাব মানবীপ্রেমে সম্যক সাধিত হয় না।