পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లి'g': চৈতন্ত ও শক্তি । [ ৪র্থ অঃ هم .. ـ -صعصصه । পুরুষ অনাদি ও প্রকৃতি হইতে পৃথক এবং নিঃসঙ্গ। শাস্ত্র বলেন,—“সেই পুরুষের নিকটে অব্যক্ত গুণময়ী প্রকৃতি লীলাবশতঃ উপগত হইয়া আপনার গুণদ্বারা প্রজাস্বষ্টি করেন। তখন ঐ পুরুষ সেই মহামায়ার মায়ায় মুগ্ধ হইয় পড়েন। তাহার পরে প্রকৃতির গুণে যে সকল কাৰ্য্য হয়, ঐ প্রকারে প্রকৃতিতে অধ্যাস হওয়াতে তদ্বারা পুরুষ আপনাকে সেই সকল কাৰ্য্যের কওঁ বলিয়া অভিমান করিয়া থাকেন। পুরুষ কেবল সাক্ষী মাত্র ; তিনি কোন কৰ্ম্মের কৰ্ত্ত নহেন,—স্বয়ং সুখস্বরূপ,—র্তাহার ঐ প্রকার কর্তৃত্বাভি মান হইলেই সংসার অর্থাৎ জন্ম-মৃত্যু-প্রবাহ এবং কৰ্ম্মদ্বার। বন্ধ ও বন্ধকৃত পারতন্ত্র্য উপস্থিত হয়। কাৰ্য্য অর্থাৎ শরীর কারণ অর্থাৎ ইন্দ্রিয় এবং কর্তৃত্ব অর্থাৎ দেবতাবৰ্গ,—এ সকলের তত্তম্ভাব প্রাপ্তি বিষয়ে প্রকৃতি কারণ বটে, কেন ন, কুটস্থ আত্মার স্বতঃ বিকার নাই, কিন্তু মুখ-দুঃখের ভোক্তৃত্ব বিষয়ে প্রকৃতির পর যে পুরুষ, তাহাকেই কারণ বলিয়া থাকে। অর্থাৎ যদিও কাৰ্য্যাদি এবং ভোক্তৃত্ব এই দুই অহঙ্কার-কৃত, তথাপি কাৰ্য্য মাত্রেই জড়াবসান,—এ কারণে তাঁহাতে প্রকৃতির প্রাধান্ত, পরস্তু ভোগ-জ্ঞানাবসান প্রযুক্ত তাহাতে প্রকৃত্যুপহিত চৈতন্তের প্রাধান্ত ।” শিষ্য। প্রকৃতির বিষয়ে যদিও আমাকে অনেক বলিয়া ছেন, তথাপিও আমার তাহতে সম্যক জানলাভ হয় নাই। সকল কথা মনেও রাখিতে পারি নাই। অতএব, তৎসম্বন্ধে