পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ग्न श्रृं: ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা לס অবগত হইতে পারা গেল না,—কেবল একটি শব্দ প্রয়োগ হইল এই মাত্র। সহজাত জ্ঞান কাহাকে বলে ? শিষ্য। যাহা পূৰ্ব্বে বিচার-পূৰ্ব্বক জ্ঞান ছিল, তাহাই এক্ষণে নিম্ন-ভাবাপন্ন হইয়া সহজাত জ্ঞানে পরিণত হইয়াছে । । গুরু। কুকুট-শাবক জন্মিয়াই খুটিয়া খায়, হংস-শাবক জলে ভাসিতে যায়, মানব-শিশু আহারের জন্ত কঁাদে,— তাহাদিগের যে জ্ঞান, তাহা পূৰ্ব্বে বিচার-পূর্বক জ্ঞান কি ছিল ? শিষ্য। পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ বলেন, শাবকগণের ঐ জ্ঞান, উহাদিগের পিতৃ-পুরুষগণের অনুভূতি হইতে আসি য়াছে । গুরু । ইহা মহাভূল, তাহা হইলে ডিম্বেরও সে জ্ঞান হইতে পারিত। বর্তমান বৈজ্ঞানিকগণের সিদ্ধান্ত এই যে, উহা কেবল তাহার শরীরের ধৰ্ম্ম ; কিন্তু শরীরের ধৰ্ম্ম হইলে ডিম্বের ভিতর জীবনীশক্তিসম্পন্ন তাহার দেহ বৰ্ত্তমান ছিল,—ডিম্ব জীবনীশক্তি-সম্পন্ন,—ডিম্বও তাহার পিতৃপুরুষগণের অনুভূতি অনুস্থ হইয়া জলে ভাসিতে যাইত। ফল কথা, উহা শাবকগণের পিতৃপুরুষগণের প্রত্যক্ষামুভূতি নহে, তাহার নিজের প্রত্যক্ষানুভূতি, উহা তাহাদিগের শরীরের ধৰ্ম্ম নহে,—উহা মনের অনুভূতি, শরীরের ভিতর দিয়া সঞ্চালিত হয় মাত্র । হরিদ্বেষী হিরণ্যকশিপুর পুত্র