পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭ ન: ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা। 8 o' বিবেক জন্মিয়া থাকে। আর যদি ঐকান্তিক প্রেমের বলে রমণীর আনন্দান্তৰ্ভুতিতে পরমানদের পানে চিত্ত। ধাবিত হয়, তবে তখন নারী পরিত্যাগ ঘটতে পারে। শিষ্য। এ কথার ভাবাৰ্থ আমি বুঝিতে পারিলাম না। গুরু। রমণীতে প্রকৃতির এক শক্তি আছে, তাই রমণী প্রকৃতির অংশ। সেই শক্তিতেই রমণী , পুরুষকে আকর্ষণ করে । তাহাকে মাতৃশক্তি ও বলা যাইতে পারে। কেবল রমণী নহে,– জগতের যাবতীয় জীব, যাবতীয় কীট পতঙ্গ, যাবতীয় উদ্ভিদ প্রভৃতি সমুদয় স্ত্রীজাতিতেই ঐ মাতৃশক্তি বিদ্যমান আছে। মাতৃশক্তির যখন বিকাশ হয়, তখন ঐ শক্তি পুরুষের শক্তি বা পিতৃশক্তিকে আকর্ষণ করিয়া লয় । "প্রকৃতি জগত প্রসবকারিণী, সুতরাং তিনি জগন্মাতা । প্রকৃতির অংশরূপিণী স্ত্রী-জাতি-স্ত্রীজাতিও জগতের সৃষ্টিপ্রবাহ বৰ্দ্ধিত ও মাতৃশক্তিকে আকর্ষণ করিতেছেন । পুরুষগণ রমণীতে আসক্ত হইয়া রমণীগর্ভে জন্মগ্রহণ করিতেছে,—তাই পত্নীর এক নাম জারী। রমণীর মাতৃশক্তি জানতে হইলে প্রকৃতির মাতৃশক্তি বুঝিতে হয়। আগে সেই কথাটারই আলোচনা করা যাউক । জগন্মাতা প্রকৃতির শক্তি দুই প্রকার। এক প্রকার বাপক, দ্বিতীয় প্রকার ব্যাপ্য। প্রকৃতি সৰ্ব্বব্যাপিকা, তিনি অনন্ত বিরাট বিশ্বের বহিরস্তরে বিরাজিতা, তখন